দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিনামূল্যে করোনার টিকা সরবরাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ করোনার টিকা রোববার (৩০ মে) দেশে আসবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগামী ৩০ মে ফাইজারের মোট ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা দেশে আসবে। রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চালানটি আসবে।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ২ জুন ফাইজারের টিকা দেশে আসার কথা জানিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের টিকা। এ নিয়ে দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য চারটি করোনা টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। 

টিকা সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ বন্ধ করে দেয়। টিকা দেওয়ার অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ আছে ৫ মে থেকে। এছাড়া রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কুষ্টিয়া জেলায় টিকার স্বল্পতার কারণে দ্বিতীয় ডোজের কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিটিউট বাংলাদেশের কেনা টিকার চালান পাঠাতে ব্যর্থ হওয়ার পর দেশব্যাপী সুশৃঙ্খলভাবে চলতে থাকা টিকাদান কর্মসূচি বিঘ্নিত হয়।

জানুয়ারি থেকে শুরু করে ছয় মাস ধরে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা পাঠানোর কথা ছিল সেরামের। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ৫০ লাখ ডোজ পাঠায় সেরাম। ফেব্রুয়ারিতে তারা মাত্র ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠায়।

এরপর থেকে তাদের আর কোনো চালান আসেনি বাংলাদেশে। ইতোমধ্যে ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে টিকা রফতানির ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে।

টিআই/আরএইচ