ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে কর্ণফুলী নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে । জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের কনটেইনার ইয়ার্ডে পানি প্রবেশ করেছে। 

বুধবার (২৬ মে) দুপুর দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, জোয়ারের কারণে বন্দরের ইয়ার্ডের দুয়েকটা পয়েন্টে পানি উঠেছিল। নদীর পাশের দুয়েক জায়গায় সাত-আট ইঞ্চি পানি উঠেছিল।

তিনি আরও বলেন, বেলা দেড়টার দিকে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। এখন কোনো পানি নেই। জোয়ারের পানি ঘণ্টা দেড়েক ছিল। তবে পানি উঠায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কিছু বলেননি এই কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, দুপুর ১২টা আগে বন্দরের কনটেইনার ইয়ার্ডের কয়েকটি পয়েন্টে পানি প্রবেশ করে। দেড় ঘণ্টা পরে আবার পানি নেমে যায়। 

এর আগে বন্দরের সচিব ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। আবহাওয়া অফিস থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সর্তক সংকেত দেখাতে বলেছে।

এইদিকে, আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে- খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালীসহ আশপাশের এলাকা। পূর্ণিমার কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রম করার সময়ে দেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হবে।

কেএম/ওএফ