ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী সহায়তার জন্য নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যুদ্ধজাহাজগুলো জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় করবে। নৌবাহিনীর মিডিয়া উইং ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নৌবাহিনী মিডিয়া উইং জানায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজগুলো রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে যেকোনো সময় উদ্ধার ও জরুরি সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীর সহযোগিতায় সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী। 

এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়টি। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর নাগাদ ইয়াস আঘাত হানতে যাচ্ছে ভারতের উত্তর ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস অতিক্রম করার সময়ে দেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এছাড়া পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এআর/ওএফ