ওয়েটিং রুমের দুটি ফ্যানই নষ্ট থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে রোগীদের / ছবি : ঢাকা পোস্ট

টানা এক সপ্তাহ তীব্র গরমের পর গতকাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি নামে রাজধানীতে। আজও কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে। যা গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসীর মনে প্রশান্তি এনে দিয়েছে। কিন্তু গত দুদিনের এ বৃষ্টির কোনো প্রভাব পড়েনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এখনও তীব্র গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনদের। 

জাহিদুল ইসলাম কামরাঙ্গীরচর থেকে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সিট না পাওয়ায় প্রথমে দ্বিতীয় তলায় ২০০ নম্বর ওয়ার্ডের মেঝেতে জায়গা হয় তার। পরে ৫০০ টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ডের বাইরে একটা সিট পান তিনি। কিন্তু মাথার ওপরে ফ্যান থাকলেও তা কাজে দিচ্ছে না। তাই হাতপাখা দিয়েই তাকে বাতাস করছেন স্ত্রী।

মঙ্গলবার (২৫ মে) সরেজমিনে ঢামেকের ১০০, ১০১, ১০২, ১০৩, ২০১ ও ২০২ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে রোগীদের দুর্ভোগের এ চিত্র দেখা যায়।

জরুরি বিভাগে প্রবেশের আগে রোগীদের অপেক্ষার স্থানে দুটি ফ্যান দেখা যায়। কিন্তু সেগুলো চলে না। জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ থেকে আসা মাসুক আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপরে ফ্যান আছে কিন্তু চলে না। বৃষ্টি হলে কী হবে গরম তো কমে না। তাই আমার স্ত্রী আমাকে বাতাস দিতে দিতে অস্থির হয়ে গেছে।

তীব্র গরমে হাতপাখাই একমাত্র ভরসা ঢামেকে ভর্তি রোগীদের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নারী জানান, তীব্র গরমে চরম কষ্টে আছি। কতক্ষণ আর হাতপাখা দিয়ে বাতাস করা যায় বলেন! আমার মনে হয় ইচ্ছে করেই তারা ফ্যানের লাইন খুলে রেখেছে। নাহলে রোগীর ওয়েটিং রুমে কেন ফ্যান চলবে না?

হাসপাতালে ভর্তি রোগী জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে টাকা না দেওয়ায় সিট খালি থাকা সত্ত্বেও আমাকে তারা মেঝেতে থাকতে দিয়েছে। পরে একজনকে ৫০০ টাকা দিলে সিট দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরম। উপরে ফ্যান চলে কিন্তু শরীরে বাতাস লাগে না। তাই বাধ্য হয়ে হাতপাখা দিয়েও কোনো রকম টিকে আছি।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. আশরাফুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন,  হাসপাতালের সব জায়গায় ফ্যান লাগানো আছে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ঢামেকে যে কোনো জিনিস শুরুর সময় থাকে কিন্তু বন্ধের সময় থাকে না। তাই ফ্যানগুলো যখন থেকে চালু হয়েছিল তখন থেকেই চলছে। এর মাঝখানে কখনোই বন্ধ হয়নি। আমাদের যথেষ্ট ফ্যান আছে, আমরা চেষ্টা করব দুর্বল ফ্যানগুলো পরিবর্তন করে নতুন ফ্যান লাগানোর।

এসএএ/এসকেডি