ঢামেক উপপরিচালকের সঙ্গে ঠিকাদারের হাতাহাতি, বৈঠকে সমঝোতা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আলাউদ্দিন-আল-আজাদ ও ঠিকাদার মিয়া মো. খালেদ রাজুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনার জেরে হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষে সোমবার (২৩ মে) রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের উপস্থিতে তাদের দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সমাধান করা হয়। সোমবার (২৪ মে) বিকেল ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত টানা ১ ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠক। বৈঠক শেষে বের হয়ে বিএমএ সভাপতি বলেন, ‘বাঁশের চেয়ে কঞ্চি মোটা হলে সমস্যা।’
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ঠিকাদার মিয়া মো. খালেদ রাজু ঢাকা পোস্টকে বলেন, উপপরিচালক ও আমার মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয় গতকাল। আজ বিকালে পরিচালক স্যার ও বিএমএ সভাপতির উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়।
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন আল-আজাদ।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন,পরিচালক আমাকে ডেকেছিলেন এ জন্য গিয়েছিলাম। বৈঠকে উপপরিচালক ও ঠিকাদারের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়ে কী সমাধান করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন।
জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। যা আমাদের কারও জন্য ভালো নয়। আজ বিকেলে বিএম সভাপতির উপস্থিতে যে অন্যায় করেছে সে ক্ষমা চেয়েছে। তবে কে অন্যায় করেছে, কে কার কাছে ক্ষমা চেয়েছে সে বিষয়ে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
তিনি আরও বলেন, বিএম সভাপতি যে নির্দেশনা দিয়েছেন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে তিনি কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এ রকম অশোভন আচরণ পরবর্তীতে মেনে নেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গতকাল (২৩ মে) দুপুরে হাসপাতালের সভাকক্ষে উপপরিচালক ও ঠিকাদারের মধ্যে টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এসএএ/এসকেডি