চট্টগ্রাম
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' বোরহান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী বুড়ির নাতি সাজ্জাদ ওরফে ছোট সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী বোরহানকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার আরকান সড়কের বাহির সিগন্যাল এলাকার ফোরএইচ গ্রুপের একটি কারখানার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বোরহানের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং শিগগিরই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
বিজ্ঞাপন
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, 'কিছুক্ষণ আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আরেক সন্ত্রাসী বোরহানকে বাহির সিগন্যাল এলাকা থেকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আশা করছি শিগগিরই ছোট সাজ্জাদকেও আমরা ধরতে পারবো। আমাদের অভিযান চলমান আছে।'
পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাজ্জাদ একের পর খুন করলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারছে না। গত বছর ৫ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন মোড়ে তাকে ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালায় সে। গুলিতে পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নগরের চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া জাগরনী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে মাইক্রোবাস থেকে নেমেই স্থানীয় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে (২৭) গুলি করে হত্যা করে সাজ্জাদ বাহিনী।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার কালারপুল এলাকায় শটগান হাতে সাজ্জাদ হোসেনসহ আরও দুজন গুলি করতে করতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করে। এরপর ওই ভবন মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
২৯ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার (৩২) ও মোহাম্মদ আনিস (৩৮) নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরেই এ খুন হয়। এই চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের ঘটনার দুই মামলায় সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের আসামি করা হয়।
আরএমএন/এসএমডব্লিউ