২০২৫ সালে সৌদিআরবে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে এজেন্সিগুলোর কোটা এক হাজার থেকে কমিয়ে ৫০০ করার দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সির মালিকদের জোট হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। কোটার সংখ্যা কমিয়ে না আনলে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে না বলেও উল্লেখ করেছেন হাব নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে  নেতারা এ দাবি তোলেন।

সংবাদ সম্মেলনে হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি এজেন্সি ৫০০ জন হজযাত্রী সমন্বয় করে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলো; কিন্তু হঠাৎ করেই সরকার যাত্রী সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে সর্বনিম্ন এক হাজার নির্ধারণ করে।

যদিও আজ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, “হজ এজেন্সির জন্য এক হাজার কোটা নির্ধারণ করেছে সৌদি সরকার। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। বরং সেটি যাতে ২৫০ বা ৫০০ রাখা যায় তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা আমি ও মন্ত্রণালয় করেছি; কিন্তু সৌদি সরকার শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি।”

সংবাদ সম্মেলনে হাব নেতারা জানান, হজ এজেন্সির এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে এজেন্সিগুলো বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে।  এক্ষেত্রে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন হজযাত্রীরা।

হাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জাতীয় হজ ও উমরাহ আইনানুযায়ী এজেন্সি প্রতি সর্বনিম্ন হজ যাত্রীর কোটা ১০০ জন ও সর্বোচ্চ ৩০০ জনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এবারের হজে সৌদি সরকার এজেন্সি প্রতি প্রথমে এক হাজার পরে ৫০০ জনের কোটা নির্ধারণ করে দিলেও, এ মাসের ৪ তারিখ তা আবারও এক হাজারের কোটা নির্ধারণ করে দেয়।

হজ যাত্রীর কোটা এক হাজার সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অসম্ভব উল্লেখ করে হাব নেতারা বলেন, সৌদি সরকারের এই নিয়ম পরিবর্তন না হলে এবার হজের সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকবেন তারা। অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, সব কিছুতে পরিবর্তন এসেছে, হজ ব্যবস্থাপনায়ও পরিবর্তন আনতে হবে।

এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশি হজ এজেন্সির জন্য হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা ১০০০ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এনএম/এসএমডব্লিউ