গণপরিবহন চলাচল : মানতে হবে যে ৪ শর্ত
বিধিনিষেধে শিথিলতা এনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে মানতে হবে চারটি শর্ত। রোববার (২৩ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে এ সংক্রান্ত জরুরি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২৩ মে মধ্যরাত অর্থাৎ ২৪ মে থেকে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে-
বিজ্ঞাপন
১. কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে উল্লেখিত মোট আসন সংখ্যার অর্ধেকের (৫০ ভাগ) বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না।
২. কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (বিদ্যমান ভাড়ার ৬০ ভাগ বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না।
৩. ট্রিপের (যাত্রা) শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৪. পরিবহন সংশ্লিষ্ট মোটরযান চালক, অন্যান্য শ্রমিক কর্মচারী ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে সরকারের অন্যান্য নির্দেশাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
এদিকে, রাইড শেয়ারিং সেবার আওতায় চলাচলকারী গাড়ি চলতে পারবে। তবে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ কর্মকর্তারা।
এর আগে রোববার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার থেকে আন্তঃজেলা বাস-ট্রেন-লঞ্চ চলাচল করতে পারবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রীর বেশি নেওয়া যাবে না।
রোজার ঈদের আগে থেকেই দূরপাল্লার বাস চালুর বিষয়ে জোর দাবি এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন মালিক-শ্রমিকরা। ঈদের দিনও তারা সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়া ২৪ মে সব মহাসড়কে তাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল। অন্যদিকে ২৪ মের মধ্যে লঞ্চ চালু করে দেওয়ার দাবিতে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছিল মালিক সমিতি।
এসএইচআর/আরএইচ