চট্টগ্রামের রাউজানে এক যুবককে অপহরণের ঘটনা ঘঠে। অপহরণের ৩ ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

এর আগে সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার অলিমিয়া হাট অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান মাজার এলাকা থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসী মো. জাবেদ, রাশেদ, নুরুল হুদা, আলমগীর, জিকু ও মোজাহার আলমসহ ৬ থেকে ৮টি মোটরসাইকেলে করে নুরুল ইসলাম নুরুকে অপহরণ করে। এরপর তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

নুরুল ইসলাম নুরু জানান, অপহরণকারীরা আমাকে মারধর করে এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এরপর আমার পকেটে থাকা ১৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এ অবস্থায় আমার পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়াও প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করার পর নানা চাপে পড়ে অলিমিয়া হাট বাজারের কাশেম মেম্বারের ঘাটা এলাকায় তিন ঘণ্টা পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান মাজার এলাকা থেকে জাবেদ, রাশেদ, নুরুল হুদা, আলমগীর, জিকুসহ ৬ থেকে ৮টি মোটরসাইকেল করে ১২ থেকে ১৪ জন সন্ত্রাসী আমাকে অপহরণ করে। অপহরণের সময় মোটরসাইকেলে উঠতে দেরি হওয়ায় জাবেদ আমাকে থু থু মারে। আমার মোবাইল ভাঙচুর ও আমাকে মারধর করে।

এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এ কে এম শফিকুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএমএন/এমএন