প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

পাটকল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শিল্পের জন্য একসময় নামডাক ছিল খুলনার। কিন্তু এখন সবই অতীত। একদিকে নতুন কারখানা গড়ে ওঠেনি, অন্যদিকে একের পর এক বন্ধ হয়ে গেছে বড় বড় পাটকল। দীর্ঘদিন লোকসানের পর এসব কারখানা বন্ধ হয়েছে। বেকার হয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

দুর্নীতি আর পরিকল্পনাহীনতায় ডুবেছে খুলনার শিল্পকারখানা

কারখানার ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতায় একদিকে সঠিক কৌশল নিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ, অন্যদিকে পরিচালন ব্যয় বেড়ে লোকসান বেড়েছে। নানা সময়ে লোকসানের নানা কারণ চিহ্নিত হয়েছে। করা হয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কারখানা বন্ধের পেছনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফকেও দায়ী করেন কেউ কেউ।

আজকের পত্রিকা

পুলিশের হাত থেকে ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত সরানোর চিন্তা

ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এই সংস্থা হবে পুলিশ বাহিনী থেকে স্বতন্ত্র একটি কাঠামো।

প্রস্তাব অনুযায়ী, পুলিশের বদলে মামলার তদন্ত করবেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা। তদন্তকাজ তদারক করবেন সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি বা প্রসিকিউটর। অর্থাৎ ফৌজদারি মামলা তদন্তের ভার আর পুলিশের কাছে থাকবে না। বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের এই প্রস্তাবসংবলিত সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। পুলিশ বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে।

সমকাল

স্বাধীন মতপ্রকাশ ও কণ্ঠরোধের শঙ্কা

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। বাতিল করা হয়েছে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে গতকাল শনিবার সরকার এ সিদ্ধান্তকে সাময়িক বলে জানিয়েছে। বলেছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রতিদিন অস্থায়ী পাস ইস্যু করবে।

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের এ সিদ্ধান্তকে ‘হটকারী’ আখ্যা দিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, সরকারের এমন অবস্থান স্বাধীন মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। অতীতের সরকারগুলো আইনকানুনের মাধ্যমে যেভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করত, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সে পথে এগোচ্ছে।

বণিক বার্তা

আস্তে আস্তে আবারো সক্রিয় হচ্ছে পূর্বের সুবিধাভোগীরা

গত দেড় দশকে দেশের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়া কোম্পানিগুলোর একটি তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। আওয়ামী লীগ নেতা ও দুর্নীতিবাজ আমলাদের ঘুস দিয়ে কাজ বাগিয়ে নেয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালালেও কোম্পানিটির প্রভাব এখনো কমেনি। গত ৪ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে সুনামগঞ্জ জেলায় ৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের পূর্তকাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ৪২৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পেরও কাজ পেয়েছে তমা কনস্ট্রাকশন।

প্রথম আলো

শিক্ষাক্রম ওলট–পালট, বছরজুড়ে নানা অস্থিরতা

মাধ্যমিকে শিক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয়েছিল ২০২৪ সাল। নতুন শিক্ষাক্রমে নবম শ্রেণি থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ তুলে দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ওলট–পালট হয় শিক্ষাক্রমও। পুরোনো শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে বিভাগ বিভাজন ফিরে আসছে ১ জানুয়ারি থেকে।

শুধু শিক্ষাক্রম নয়, এ বছরে শিক্ষায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে তা নানা কারণে পরিবর্তন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে এইচএসসির কয়েকটি পরীক্ষা বাতিল ও বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন, পাঠ্যবই–সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটি গঠনের পর তা বাতিল, সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়ে’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে পরে তা আন্দোলনের মুখে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এভাবে বছরজুড়ে শিক্ষায় নানা ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদল, সিদ্ধান্তহীনতা আর অস্থিরতা ছিল।

মানবজমিন

বছর জুড়েই সড়কে অরাজকতা!

সড়কে নিয়মিতই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিন সড়কে গড়ে প্রাণ ঝরছে ২০ জনের। দুর্ঘটনা রোধে বছর জুড়ে ছিল না দৃশ্যমান উদ্যোগ। জুলাইয়ের পর সড়কে বিশৃঙ্খলা বেড়ে চরম পর্যায়ে ঠেকেছে। অবৈধ অটোরিকশায় সয়লাব হয়েছে রাজধানীর সড়ক-মহাসড়ক। সড়কজুড়ে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। বছরের শেষদিকে তা কিছুটা উন্নতির দিকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর করেছে মেট্রোরেলে। ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সড়ক ও বিআরটিএ ভবন। এতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মেট্রোরেল ও বিআরটিএ সেবা। সবশেষ ডিসেম্বরে জোড়াতালিতে চালু হয়েছে ঢাকা বিআরটি সড়ক।

সমকাল

চিকিৎসায় ভুল বা অবহেলায় নেই প্রতিকার, নেই আইন

বিএমডিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল থেকে গত ১ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৭ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে; বাদীপক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ২০টি। ৩১টি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া ১৬ চিকিৎসকের নিবন্ধন বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত এবং একজনের স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সতর্কতার নোটিশ পেয়েছেন ১৮ শতাংশ চিকিৎসক এবং ১০ শতাংশকে ভর্ৎসনা করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৯ শতাংশ চিকিৎসককে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

যুগান্তর

চ্যালেঞ্জ সম্পদের তথ্য ঘাটতি

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের নামে-বেনামে অর্থ পাচারের ফিরিস্তি রূপকথার গল্পকেও হার মানিয়েছে। পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হয়েছে, চলছে অভ্যন্তরীণ তদন্তও। তবে সম্পদ ফেরানোয় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাচারকারীদের সম্পদের তথ্যের ঘাটতি। অর্থ পাচারকারী ব্যক্তি বা কোম্পানির নামে রক্ষিত সম্পদের প্রকৃত তথ্য সরকারের কাছে না থাকায় তা উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। 

বণিক বার্তা

রাজস্ব আহরণে আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে কি

রাজস্ব আহরণ অপ্রতুল। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে সরকারের। বর্তমানে রাজস্ব আয়ের সিংহভাগ অর্থই চলে ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে। এ অবস্থায় চলমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে প্রতি বছরই বাংলাদেশের জন্য রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি অর্থবছরের জন্যও সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সংস্থাটি। যদিও দেশের বিদ্যমান প্রতিকূল অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া সম্মেলন ঘিরে উজ্জীবিত বিএনপির তৃণমূল; আইজিপি / অপরাধ কমাতে পুলিশের কাছে ‘ম্যাজিক’ নেই; ড্রাইভিং লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেস ছিল না বাসটির; চট্টগ্রামে ‘ঘাঁটি’ পুনরুদ্ধারে দল গোছাচ্ছে জামায়াত; বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মীকে ডেকে নিয়ে হত্যা; ডিএমপি কমিশনার / এখনো পুলিশ পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছি; বিএনপি কর্মীদের জন্য ওসির মনঃকষ্ট!—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।