শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অবদান বিশ্ব স্বীকৃত
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও অবদান আজ বিশ্ব স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন কোলেশন অব লোকাল এনজিও বাংলাদেশের (সিএলএনবি) চেয়ারম্যান এবং বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেনিন শহীদ শান্তি সেনা দিবস উপলক্ষ্যে সিএলএনবি ও শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
২০০৩ সালে ২৫ ডিসেম্বর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া ও সিয়েরালিয়ন থেকে শান্তি মিশন সমাপ্ত করে দেশে ফেরার পথে বেনিন সাগর উপকূলে বিমান দুর্ঘটনায় শহীদ হন ১৫ সেনা কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন
হারুনুর রশিদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ও পুলিশ সদস্য পাঠানো দেশ বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্বের ৪০টি দেশের ৬৩টি মিশনে প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের গৌরব বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা কাজ করছেন। সংঘাতময় দেশে শান্তি স্থাপন, দুর্গতদের উদ্ধার, আর্তের সেবা, অসুস্থ ও আহতদের সেবা ও দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের ১৬৮ জনকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছেন। তাদের নিষ্ঠা ও আত্মত্যাগ দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত। এ অবদানের কারণে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম (বীর প্রতীক), মহান মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা কমান্ডার তাফাকুননবী জৌলুস, সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান বাবলু, শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও ভোলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ের লেখক কালাম ফয়েজী, সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, সমতা পার্টির আহ্বায়ক হানিফ প্রমুখ।
এএসএস/এমএন