প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তা। অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকেও। তবে আদালতে ওঠার আগেই বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। আবার তদন্ত করা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

আনিসুল, সালমান ও জিয়াকে অব্যাহতির চেষ্টা, তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার

নথিপত্র ও পুলিশ সূত্র বলছে, তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর ডিবির পরিচয় গোপন করে থানা–পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে জমার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নেননি। বিষয়টি জানাজানির পর তিনি অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে চলে গেছেন।

সমকাল

ডাকাতি চাঁদাবাজিতে অরক্ষিত নৌপথ

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ঈশানবালায় মেঘনা নদীতে মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের এমভি আল-বাখেরা নামে সারবাহী একটি জাহাজের সাতজনকে হত্যার ঘটনায় ফের নৌপথের সুরক্ষার বিষয়টি সামনে এসেছে।  

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের বেশ কিছু এলাকার নৌরুট রীতিমতো আতঙ্কের। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চাঁদপুরের হাইমচর, দশআনী, মাঝেরচর, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, নারায়ণগঞ্জের কলাকাইট্যা, পদ্মা নদীর শিবচর ও মাওয়া এলাকার একাধিক পয়েন্ট, মেঘনা ব্রিজের নিচ থেকে সিলেট যেতে ৪-৫টি জায়গা, হাতিয়া, ইলিশা ও ভৈরব। এ ছাড়া মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলার পাশ দিয়ে মেঘনা নদীর প্রায় ২২ কিলোমিটার বয়ে গেছে। মোংলা বন্দর থেকে চট্টগ্রামমুখী জাহাজ এই রুটে যাতায়াত করে। পণ্যবাহী যানবাহন প্রায়ই মেহেন্দীগঞ্জের ভাবনির চর ও উলানিয়ার মল্লিকপুর অতিক্রম করার সময় ডাকাতের কবলে পড়ে।  

কালের কণ্ঠ

চড়া খাদ্যমূল্যে কষ্ট বেড়েই চলেছে

জানা গেল, রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় আয়রন সেকশনে কাজ করছেন রঞ্জিত দাস। ২০ হাজার টাকা বেতনে দুই সন্তান আর স্ত্রীকে কোনোমতে টেনেটুনে চলছে তাঁর সংসার। তিনি রামপুরার উলন এলাকায় টিনশেডের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। খাদ্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে তাঁকে হিমশিম খেতে হয় বলে জানালেন।

ইত্তেফাক

নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই, ৭ লাখ কপি বাতিল

বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ১১৬টি মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বইয়ের মান নিয়ে যেহেতু আপস হবে না, এটা বুঝতে পেরে এবার ১১৬টি প্রেসই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিন্ডিকেট করে। প্রায় ৪০ ভাগ টেন্ডারে একজনের বেশি টেন্ডার জমা দেয়নি। এই সিন্ডিকেটের কারণে বইয়ের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৬ থেকে ২০ শতাংশ। তার পরও অধিক মুনাফার লোভে রাতের আঁধারে নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপাচ্ছে কিছু ছাপাখানা।

বণিক বার্তা

দেশের সেরা দুই অর্থমন্ত্রীর মৃত্যু হয় অপঘাতে

অলিগার্কদের উত্থান। ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থের লুটপাট। দেশ থেকে প্রতি বছর শত শত কোটি ডলার অর্থ পাচার। দায় মুক্তি দিয়ে অন্যায্য সরকারি চুক্তি। অর্থনীতির এ প্রধান প্রবণতা গড়ে উঠে অর্থমন্ত্রী হিসাবে এম সাইফুর রহমান,শাহ এএমএস কিবরিয়া পরবর্তী যুগে। এ দুজনেরই মৃত্যু হয় অপঘাতে।

সমকাল

কৃষক ও মিলারের অনীহা, সরকারের ভান্ডার খাঁ খাঁ

দেশজুড়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে তাও মাস পেরিয়েছে। অথচ গত বছরের চেয়ে কেজিপ্রতি তিন টাকা বাড়িয়ে ১০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করলেও সরকারের ভান্ডার খাঁ খাঁ করছে। অনেক জেলায় এক ছটাক ধান-চালও সংগ্রহ করা যায়নি। কোথাও কোথাও লক্ষ্যমাত্রার ১ থেকে ২ শতাংশ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে।

গত সোমবার পর্যন্ত ধান মিলেছে মাত্র ৪ হাজার ৭১২ টন আর সেদ্ধ চাল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ টন। আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ২১ হাজার ৫২৪ টন। বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় মিল মালিকরা লোকসানের ছুতা তুলে চাল দিচ্ছেন না। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বাইরে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরাও সরকারি গুদামে ধান দিতে নিস্পৃহা দেখাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে সংগ্রহ অভিযান বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। তবে সরকার বলছে, এখনও সময় আছে। ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।

মানবজমিন

দাবি নিয়ে ব্যস্ত গতিহীন প্রশাসন

প্রশাসনের মূল কেন্দ্র সচিবালয়ে বিরাজ করছে এক প্রকার বিশৃঙ্খলা। সব দাবির গন্তব্য যেন এখন জনপ্রশাসনে। বঞ্চিতের নামে আন্দোলনের মৌসুম বুঝে দাবি নিয়ে শামিল হচ্ছেন জনপ্রশাসনে। অভিযোগ উঠেছে, অতীতে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্তরাও নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে চাপ তৈরির মাধ্যমে পদোন্নতি বাগিয়ে নিচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীনভাবে সভা-সমাবেশ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অতীতে দাবি আদায়ে এমন দৃশ্য কখনো দেখা যায়নি। ওদিকে বৈষম্য দূর ও শৃঙ্খলা ফেরানো এবং জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে সরকার যে সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে তা বাস্তবায়নের আগেই বাগড়া তৈরি করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে প্রতিবাদ সভা আহ্বান করা হয়েছে এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। এই সভায় সাবেক কর্মকর্তাদেরও দাওয়াত দেয়া হয়েছে। 

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া শুরু হয়। আগেই অবসরে যান এমন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব দেয়া হয়। সর্বশেষ জনপ্রশাসনের ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে একসঙ্গে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একের পর এক দাবি পূরণ হওয়ায় দাবি পূরণের এই মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এতে প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। 

আজকের পত্রিকা

শেখ হাসিনাকে ফেরানো: সবার সামনে কঠিন পথ

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের চাপ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে ফেরত পেতে কূটনৈতিক পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতকে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, তাঁকে আনা গেলে বিচারের কাজটি ভালোভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে।

তবে দুই দেশেই সরকারের ভেতরের ও বাইরের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, শেখ হাসিনা নিজে থেকেই দেশে ফিরে যে বিচারের মুখে পড়তে চাইবেন—এমন ইঙ্গিত এখনো মিলছে না। আইনি সব জটিলতা মিটিয়ে তাঁকে ফেরত আনা সফল করতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। আর হাসিনাকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের জন্য মোটেও সহজ নয়। সব মিলিয়ে তাঁকে ফেরত এনে তাঁর উপস্থিতিতে বিচার সম্পন্ন করা একটি জটিল, সময়সাপেক্ষ, এমনকি প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।

সমকাল

প্রকাশ্যে দুর্নীতি কমার সঙ্গে কমেছে কাজের গতিও

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) উদ্যোগে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য আয়োজিত ধারাবাহিক সংলাপে জনপ্রশাসনবিষয়ক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, একটি পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষার ওপর বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। তাই বড় আঙ্গিকে সংস্কার প্রয়োজন।

সংলাপের শুরুতে সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন অস্থিরতার মধ্যে আছে। নব্বইয়ের দশকে এবং ২০০৭ সালেও সংস্কারের কথা উঠেছিল। তবে এটি ‘ঘৃণিত’ শব্দে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর এখন প্রশ্ন আসছে– সংস্কার আগে, না নির্বাচন আগে। যদিও আমরা এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তবে এখনও কথা বলতে আমরা ভয়ে থাকি।

কালবেলা

মালয়েশিয়া যাত্রা অনিশ্চিত বারো লাখ শ্রমিকের

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সভা হচ্ছে না। আগামী ২৯ থেকে ৩১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পর্যায়ের এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিদেশে শ্রমিকদের জন্য বাজার খুলে দেবে মালয়েশিয়া। তারা নতুন করে প্রায় ১২ লাখের বেশি শ্রমিক নেবে বলে বিভিন্ন সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির সভা না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে মালয়েশিয়ায় প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি। যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির সভা না হওয়ার নেপথ্য কারণ হিসেবে জানা গেছে, বিগত সময়ে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে ব্যবসায়ীদের ভয়াবহ বিরোধের বিষয়টি। ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। অন্যদিকে ৫ আগস্ট-পূর্ববর্তী সময়ে শ্রমিক পাঠানোর নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ এনে আলাদা অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যুগান্তর

বাড়ছে ভবনের উচ্চতা আয়তন ও ইউনিট

শিগগিরই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) মাস্টারপ্ল্যান ড্যাপের সংশোধন চূড়ান্ত হচ্ছে। এর ফলে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকার ভবনের উচ্চতা, আয়তন ও ইউনিট বাড়বে। এই বিষয়গুলো নতুন ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় যুক্ত হবে। পাশাপাশি ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বিশেষ প্রকল্প অনুমোদনের শর্তও শিথিল করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব ও নগর পরিকল্পনাবিদরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

আজকের পত্রিকা

৯৫৯ কোটি টাকা বাড়তি খরচে পানি যাচ্ছে কেইপিজেডে

আট বছর আগে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পে পানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি লিটার। সেই লক্ষ্যমাত্রার কোনো হেরফের হয়নি। তবে প্রকল্প ব্যয়ে বড় ধরনের হেরফের হয়েছে। শুরুর ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প ঠেকেছে ১ হাজার ৯৯৫ কোটিতে। বেশি ব্যয় হলো ৯৫৯ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্প থেকে আগামী সপ্তাহে আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) প্রথম পানি সরবরাহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডসহ (কাফকো) শিল্পপ্রতিষ্ঠানে এ প্রকল্পের পানি যাবে।

কালের কণ্ঠ

খাদ্য শৃঙ্খলে ৭৮.৬% প্লাস্টিক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক

দেশে বছরে প্রায় ৩.১৫ থেকে ৩.৮৪ বিলিয়ন প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রিসাইকেল করা হয় ২১.৪ শতাংশ। বাকি ৭৮.৬ শতাংশ প্লাস্টিক বোতল নদী, সমুদ্র ও ডাম্পিং স্টেশনে জমা হয়, যা পরিবেশ ও মানুষের খাদ্য শৃঙ্খলে ঢুকে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিক ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কাচের ব্যবহার এর সমাধান হতে পারে।

সমকাল

গ্রামেই বেশি কোমল পানীয়ের প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে বছরে প্রায় ৩ দশমিক ১৫ থেকে ৩ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতল ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে মাত্র ২১ দশমিক ৪ শতাংশ রিসাইকেল হয়। বাকি ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ প্লাস্টিক বোতল নদী, সমুদ্র এবং ডাম্পিং স্টেশনে জমা হয়। ভোক্তাদের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বোতলের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন শহরের মাত্র ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ এবং গ্রামের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। শহরাঞ্চলের খুচরা বিক্রেতারা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পানির বোতল বিক্রি করেন ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং গ্রামের খুচরা বিক্রেতারা কোমল পানীয়ের বোতল বিক্রি করেন ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

গবেষণার এই ফল এমন এক সময় প্রকাশ হয়েছে, যখন অন্তর্বর্তী সরকার পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। সার্বিকভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার একেবারে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বণিক বার্তা

বিচ্ছিন্ন রাখাইন দুর্ভিক্ষের মুখে

উৎপাদনশীল খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুপস্থিতিতে দেশটির বাকি অংশ এবং প্রতিবেশীদের কাছ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল। সেখানকার অর্থনীতির পরিপূর্ণ পতন অবশ্যম্ভাবী। অদূর ভবিষ্যতে রাখাইনের বিদ্যমান অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে পুনরুদ্ধারের কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্ন রাখাইন পড়তে পারে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি নাগাদ রাখাইনের ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়বে। কারণও দিবালোকের মতো স্পষ্ট। ইউএনডিপির হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ রাখাইনের খাদ্য উৎপাদন অঞ্চলটির চাহিদার মাত্র ২০ ভাগ পূরণে সমর্থ হবে।

এছাড়া যুবলীগ নেতার বাড়িতে পোড়ানো হচ্ছিল নারীর খণ্ডিত দেহ; ৮ প্রকল্পে হাসিনার দুর্নীতির তথ্য চেয়েছে দুদক; অবসরে যাওয়া ৭৬৪ বঞ্চিত কর্মকর্তা পাচ্ছেন পদোন্নতি; সংস্কারের মুখে ‘চাপে’ প্রশাসন ক্যাডার—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।