চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলমগীর (৫০)-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) জবরদখলের অভিযোগে পারভীন আক্তার নামে এক নারী বাকলিয়া থানায় ওই জিডি করেন।

এদিকে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী বাকলিয়া থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বজ্রঘোনা এলাকার মো. আলী হোসেনের মেয়ে। আর অভিযুক্ত আলমগীর বাকলিয়া থানা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলমগীর নিজেকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হলে হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। বাকলিয়া থানা এলাকায় ভূমি দখল ও স্থানীয়দের ওপর হামলায় আলমগীরের নাম ওঠে আসে। যদিও প্রভাবশালী হওয়ায় আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার সাহস করেননি কেউ। সবশেষ মঙ্গলবার আলমগীরের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় একটি জিডি হয়। 

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে— আলমগীর এবং তার সহযোগী মাহবুবুল আলম (৫৫) ও আলি আকবর (৬০) মিলে এক নারীর বসতবাড়িতে হামলা করে। গত ১০ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে এ হামলা করা হয়। হামলার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকজনকে একটি সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ফেলতে দেখা যায়। 

এ বিষয়ে জিডির বাদী পারভীন আক্তার বলেন, আলমগীর আমার নিকটাত্মীয়। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে উনি আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ১০ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে দলবল নিয়ে এসে তিনি আমাদের বাড়িতে হামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু আলমগীর পুলিশকে জানিয়েছিল— তিনি সীমানাপ্রাচীরটি পুনরায় নির্মাণ করে দেবেন। একারণে আমরা ধৈর্য ধরেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও তিনি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেননি। উল্টো আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। সবশেষ আজ (মঙ্গলবার) তার বিরুদ্ধে আমরা জিডি করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা মো. আলমগীর বলেন, একটা জায়গা নিয়ে আগে থেকে ঝামেলা ছিল। এটা নিয়ে কেউ হয়তো অভিযোগ করেছে।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বসতবাড়িতে হামলার অভিযোগে এক নারী থানায় জিডি করেছেন। এটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এমআর/টিএম