ভাতা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান ট্রেইনি চিকিৎসকদের
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নুরুন নবীর স্বাক্ষর করা বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, পোস্ট-গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের সঙ্গে ওয়াদার বরখেলাপ নতুন কিছু না। কিন্তু নতুন বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য মেনে নেওয়া হবেনা। ৯ম গ্রেড সমপরিমাণ ভাতার ওয়াদা করে ৩০ হাজারের প্রজ্ঞাপন আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আপনারা প্রস্তুত থাকেন আরো কঠোর ভাবে আমাদের মোকাবেলা করার জন্য।
আরও পড়ুন
এর আগে, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) মাসিক ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এ দিন সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে। পরে দুপুরে শাহবাগের সড়কে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায় না হলে অবস্থান কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন। পরে সেখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সারজিস আলম চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। দাবি পূরণ করা হবে এমন আশ্বাসে রাস্তা ছাড়েন চিকিৎসকরা।
অবশ্য, বেতন ৩০ হাজার করার এ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করেছেন সারজিস আলমও। আজ তার ফেইসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের ভাতা মাত্র ৩০ হাজার টাকা কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। এটা অন্তত ৪০ হাজার অথবা নবম গ্রেড সমমান হওয়া উচিত। কোথায় কখন কতটুকু ইনভেস্ট করতে হবে সেটা যতদিন আমরা না বুঝবো ততদিন দেশের প্রত্যাশিত উন্নতি সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, সারাদেশে বর্তমান প্রায় ১০ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন। যারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। এসব ট্রেইনি চিকিৎসকরাই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী ভর্তি, রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া এবং ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ করে থাকেন।
আরএইচটি/এআইএস