টিকার ঘাটতি থাকায় প্রথম ডোজ নেওয়াদের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেতে দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোববার (২৩ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই সপ্তাহ শেষে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুদ একেবারেই ফুরিয়ে যাবে। এর মধ্যে নতুন করে টিকা না পেলে ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেতে বিলম্ব হবে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যে বাড়তি টিকাগুলো আছে, সেগুলো থেকে আমাদের ঘাটতি টিকা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সাথে আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী যে খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, মিক্সড করে (দুই ডোজ দুই প্রতিষ্ঠানের) টিকা কার্যক্রমের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, এফডিএসহ তারা যদি এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরাও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা পেতে চেষ্টা চলছে। টিকার ব্যবস্থা হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রমও শিগগিরই শুরু করতে পারব। 

ভারতে নতুন মহামারি কালো ছত্রাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের কালো ছত্রাক নিয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। আমরা চাই এই কালো ছত্রাক যেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নতুন করে চাপ হয়ে না দাঁড়ায়। আমরা জাতীয় কারিগরি কমিটি আলোচনা করছি। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলছি। কালো ছত্রাক এলে এর চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, সে সম্পর্কিত গাইডলাইন আপনাদের দিয়ে দেবো।

টিআই/এনএফ