কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।

আজ (মঙ্গলবার) সুজন সভাপতি এম. হাফিজউদ্দিন খান এবং সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একদল কর্মী-সমর্থক জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে এবং এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের এই মাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আমরা নাগরিক সংগঠন সুজন-এর পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগের সাথে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। একইসাথে ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এতে আরও লেখ হয়— এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রথমে এই ঘটনার সাথে তাদের দলের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা হলেও পরবর্তীতে আবুল হাশেম ও অহিদুর রহমান নামের দুই সমর্থককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুজন মনে করে, এই ধরনের একটি ধৃষ্টতাপূর্ণ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি ও নির্দেশনা দেওয়া এবং দল থেকে বহিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়; দ্রুততার সাথে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনাটাই বেশি জরুরি। আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী কবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া তথা ‘মব জাস্টিস’ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা প্রাপ্তি আমাদের অহংকার। যে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে সেই স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে, তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। এদের অবদান চিরদিন অম্লান থাকবে। 

এসআর/এনএফ