ঢাকা-খুলনা রুটে আনুষ্ঠানিক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন
পদ্মাসেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-খুলনা-ঢাকা রুটে আনুষ্ঠানিক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এ উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে (কমলাপুর) উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সকাল ৬টায় খুলনা রেলস্টেশন থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে প্রথমবার ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ট্রেনটি। কমলাপুর পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার পর। ট্রেনটি (৮২৬) ঢাকা থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। দিনে দুইবার খুলনা-ঢাকা এবং ঢাকা-বেনাপোল পথে চলাচল করবে ট্রেনটি।
রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ (৮২৫) নামে এবং বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে ‘রূপসী বাংলা’ এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি সাপ্তাহিক একদিনের বিরতি রেখে (সোমবার) নিয়মিত যাতায়াত করবে। এই রুট চালু হওয়ায় যাতায়াতের সময় কমেছে। নতুন চালু করা এ ট্রেনে মাত্র পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা অথবা বেনাপোল পৌঁছানো যাবে। যা বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী হয়ে খুলনা যেতে সময় লাগে ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং রাজবাড়ী হয়ে বেনাপোল যেতে ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট লাগে।
যাত্রাপথে ট্রেনটি নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, লোহাগাডা, কাশিয়ানী জংশন এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
অন্যদিকে, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস (৮২৮) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়ে বেনাপোল পৌঁছাবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে। এবং বেনাপোল থেকে ৮২৭ নাম্বার ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ৩টায় বেনাপোল ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে।
যাত্রাপথে ট্রেনটি যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ট্রেন দুটিতে ১২টি কোচে মোট ৭৬৮টি আসন থাকবে।
পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় হয়ে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। গত বছর ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত রেলপথ চালু করা হয়। আজ নতুন রেলপথটির পুরোটাই চালু হলো।
এমএসআই/জেডএস