১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৯ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম মামলায় সাবেক মন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব আমলে নেওয়া হয়েছে। যেখানে ৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩১ হাজার ৪৭৯ টাকার সম্পদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ২৩ ব্যাংক হিসাবে ২৩ কোটি ৭২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭৬ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ তিন কোটি ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৭৫২ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক তা দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। যার স্বপক্ষে বৈধ মালিকানা পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। এ ছাড়া তার নামে থাকা ১১টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৮ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ "দুর্নীতি ও ঘুষ" সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্পদ অর্জনে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করায় এই মামলায় স্বামী মো. মহিববুর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে। 

তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

আরএম/এমজে