দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিয়ে ১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে এটি জানানো হয়েছে।

১৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা হলো:

১. দুদক একটি সাংবিধানিক তদন্ত সংস্থা হবে।

২. পাঁচজন কমিশনার এবং তন্মধ্যে একজন চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে দুদক গঠিত হবে।

৩. সার্চ কমিটিতে ন্যায়পাল এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ও সর্বজনগ্রাহ্য একজন অধ্যাপককে যুক্ত করা যেতে পারে।

৪. দুদক চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের নিয়োগের পূর্বে তাদেরকে সংসদে (আইনসভা) উচ্চকক্ষের শুনানির মুখোমুখি হতে হবে। সংসদীয় কমিটি সম্মতি দেওয়ার পরই কেবল রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দিতে পারবেন।

৫. চেয়ারম্যানের অপসারণ ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ন্যায় হবে।

৬. দুদক তফসিলি অপরাধ তদন্ত করবে। তবে তফসিলে অন্তর্ভুক্ত নয়; কিন্তু বাংলাদেশের আইনে অপরাধ এমন অপরাধের তদন্ত করতে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিতে হবে। তফসিল হালনাগাদ করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।

৭. দুদক সংসদের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করবে। সংসদে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আলোচনা হবে।

৮. দুদকের বিধি প্রণয়ন করবে সংসদের উচ্চকক্ষ।

৯. দুদকে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তদন্তের বিষয়ে কোনও কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। কমিশনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। তবে কোনও উচ্চ পদমর্যাদা সম্পন্ন কর্মকর্তা সম্পর্কিত তদন্তকাজ সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য মনোনীত ব্যক্তি কমিটি ব্যতীত অন্য কেউ করতে পারবে না।

১০. দুদক তদন্ত কাজে টাস্কফোর্স গঠন করতে পারবে। এই ধরনের টাস্কফোর্স কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, জাতীয় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে।

১১. তদন্ত পদ্ধতি ঔপনিবেশিক ফৌজদারি কার্যবিধি নয়; বরং দুদকের কার্যবিধি দ্বারা পরিচালিত হবে। কার্যপদ্ধতির আধুনিকায়ন করতে হবে।

১২. দুদকের কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক নিজে তদন্ত করতে পারবে না। প্রধান ন্যায়পাল/অন্য ন্যায়পালরা এই সংক্রান্ত তদন্ত করবেন।

১৩. কমিশনের আইনের বিধানে কোনও অস্পষ্টতা দেখা দিলে সরকারের হস্তক্ষেপের পরিবর্তে সংসদের উচ্চকক্ষ সেই বিধানের স্পষ্টকরণ কিংবা ব্যাখ্যা প্রদান করবে।

এসআই/টিএম