ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে আ. ছালাম খান যোগদান করেছেন।‌

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁও প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেন তিনি।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আ. ছালাম খানকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হিসেবে প্রেষণে নিয়োগ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিদায়ী মহাপরিচালক ড. মহা. বশিরুল আলমের (অতিরিক্ত সচিব) স্থলাভিষিক্ত হলেন। 

সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আ. ছালাম খান ১৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৯৮৮-৮৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম সম্পন্ন করেন। এছাড়া মুর্শিদাবাদের সারুলিয়া দারুল উলুম মাদরাসা থেকে ইফতাহ সম্পন্ন করেন। 

তিনি চাকরিজীবনে সহকারী জজ হিসেবে ফরিদপুর জেলা থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়া নোয়াখালী, নড়াইল, যশোর, বাগেরহাট, মাগুরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর জেলায় বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ খুলনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৩ এর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

এছাড়া সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আ. ছালাম খান রাষ্ট্রীয় কাজে সৌদিআরব, ভারত, কুয়েতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সফর করেন। 

আ. ছালাম খানের নিজ জেলা মাদারীপুর। তার স্ত্রী জাহানারা বেগম শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হিসেবে অবসরগ্রহণ করেছেন। তাদের একমাত্র মেয়ে তাসমিন খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। 

এদিকে, আজ সকাল ১০টায় নবনিযুক্ত মহাপরিচালক দায়িত্বভার গ্রহণের পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক পরিচিতি সভায় মিলিত হন। এছাড়া বিকেল ৩টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

এনএম/এমএন