৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : আসামি সাবেক এমপি রিমন
৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮২ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় রিমনের স্ত্রী মিসেস রওনকে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২২ ডিসেম্বর) মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, মামলায় হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি হাচানুর রহমান রিমনের নিজ নামে মোট ৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার তথ্য/রেকর্ডপত্র পাওয়া যায়। একই সময়ে তার নামে দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৭ টাকা। দায়-দেনা বাদে শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২০ কোটি ৭৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯০ টাকা। ১৯৯৪-১৯৯৫ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষে তার মোট পারিবারিক ব্যয় ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকাসহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭ কোটি ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩৪ টাকা। বিপরীতে গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭০ টাকা টাকা। এক্ষেত্রে আসামি ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক ওই এমপির নামে বরিশালের আগরপুর রোড, রূপাতলী, জাগুয়া, দক্ষিণ আলেকান্দায়, ঢাকার নলটোনা, বরগুনার পাথরঘাটায় মোট ১ কোটি ৫১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৩ টাকার অ-কৃষি জমি রয়েছে। এছাড়া বরগুনার কাঠালতলী, মাদারতলী, রায়হানপুর, গহরপুর, চরলাঠিমারা মৌজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের কৃষি জমি রয়েছে। তার নিজ নামে ব্যবসার পুঁজি রয়েছে ১৫ কোটি এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৪০ টাকা এবং ৪৬ লাখ টাকার অন্যান্য বিনিয়োগ রয়েছে।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-২ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ১৬ অক্টোবর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শওকত হাচানুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। সাবেক এই সংসদ সদস্যের নিজ নামে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো, মাইক্রো বাস, টয়োটা প্রিমিও কারসহ ৩টি গাড়ি, স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ও নগদ ১৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৪০ টাকার তথ্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরএম/জেডএস