সরকারি নির্দেশনা পেলেই বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করবে। তার আগে রেলপথের বিভিন্ন সেকশনে যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে (ট্রায়াল রান) পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেন ও ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে ও প্রস্তুতিমূলক কাজের অংশ হিসেবে ট্রেনগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। রোববার (২৩ মে) রেলওয়ের পাকশী বিভাগের অধীনে ১৯টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হবে যাত্রী ছাড়াই। রেলওয়ে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিচালন) শাহাদাত আলী সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ জারির পর গত ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে যেকোনো সময় যাত্রীবাহী ট্রেন যাত্রীসহ পরিচালনার জন্য। এরই অংশ হিসেবে ট্রেনগুলোর ট্রায়াল রান করা হচ্ছে নিয়মিত। 

তিনি বলেন, নির্দেশনা পেলেই আমরা ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করব। আগামীকাল থেকে চালাতে বললে আমরা চালাতে পারব।

বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যানুসারে, আজ (রোববার) রেলপথের বিভিন্ন অংশে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে পাকশী বিভাগের অধীনেই ১৯টি ট্রেনের ট্রায়াল রান পরিচালনা করা হবে।

এর মধ্যে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস খুলনা-নওয়াপাড়া–খুলনা রেলপথে পরিচালনা করা হবে। বেনাপোল এক্সপ্রেস খুলনা-বেনাপোল-খুলনা রুটে পরিচালনা করা হবে। রাজশাহী-সরদহ রেলপথে চালানো হবে ধুমকেতু এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, তীতুমীর এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস। 

নীলসাগর, সীমান্ত ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস পরিচালনা করা হবে চিলাহাটি–নীলফামারী রেলপথে। এছাড়া বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি পরিচালনা করা হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে রুহিয়া রেলপথে। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস টুঙ্গিপাড়া-আব্দুল্লাহপুর রুটে চালানো হবে। ঢালারচর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ও রাজশাহী কমিউটার ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর রুটে চালানো হবে।

পিএসডি/এসএসএইচ