সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, সেরামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমাদের দেশ থেকে অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাব।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সেরামের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, এটা একটি আন্তর্জাতিক মানের চুক্তি। সুতরাং এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা চিন্তিত নই।

সেরামের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা আশ্বস্ত করেছে যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আমাদের দেশ থেকে অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন পেয়ে যাব

নাজমুল হাসান পাপন, এমডি, বেক্সিমকো ফার্মা

তিনি বলেন, ছয়টি ধাপে তারা আমাদের ভ্যাকসিন দেবে। আমরা ৫০ লাখ করে ৬ মাসে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাব।

এর আগে সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিইও) রাব্বুর রেজা বলেছেন, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ঠিক সময়ে করোনার টিকা পাবে বাংলাদেশ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মন্ত্রী জাহিদ মালেক

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউটের চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে- অনুমোদনের পর সেরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে প্রথম ধাপের টিকা সরবরাহ করবে। বিশ্বাস করি, ঠিক সময়েই করোনা টিকা পাব। আমরা সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকা ভারতে উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। ওই টিকা কেনার জন্য বাংলাদেশ সরকার গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে।

ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না। আমরা এ মুহূর্তে শুধু ভারত সরকারকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারব

আদর পুনাওয়ালা, প্রধান নির্বাহী, সেরাম ইনস্টিটিউট

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারতের পক্ষ থেকে ‘নিষেধাজ্ঞা’ দেয়া হয়েছে বলে সোমবার (৪ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো ‘আপাতত পাচ্ছে না’ বলেও উল্লেখ করা হয়। এমন খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মহল থেকে ভারত সরকার ও সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা, ফাইল ছবি

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে করোনাভাইরাসের যে টিকা তৈরি করেছে, তার উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গ যুক্ত রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কোভিশিল্ড নামের ওই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা তাদের। ওই তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।

এদিকে, ভারত থেকে টিকা এনে বাংলাদেশে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ তারা।

‘টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা’র খবরের বিষয়ে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এসআইই) এক কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি বলছে, ‘যে খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে তা পুরোপুরি সঠিক নয়। কারণ তাদের টিকা রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে কোম্পানিটি এখন অন্য দেশে টিকা রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, যা পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।’ সোমবার সেরাম ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মায়াঙ্ক সেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এসব কথা জানান।

বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ওঠে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালার বক্তব্যের পর থেকে। টিকা রপ্তানি না করতে পারার বিষয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া সাক্ষাৎকারে পুনাওয়ালা বলেন, রোববার ভারতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে- ভারতের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না। আমরা এ মুহূর্তে শুধু ভারত সরকারকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারব। এমনকি ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারেও ভ্যাকসিন বিক্রি করা থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতের বন্ধুত্বে আমাদের আস্থা আছে, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আমরা নিরাশ হচ্ছি না, চুক্তির বিষয়ে তারা অনার করবে (সম্মান)। আজকের মধ্যে যে কথা হয়েছে, তা পজিটিভ হিসেবে দেখছি। আলোচনার কারণে আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি, নিরাশ হচ্ছি না

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক

একইসঙ্গে ভ্যাকসিন মজুত না করার বিষয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেন জানান পুনাওয়ালা। মূলত, তার এমন বক্তব্যের পরই ভারতের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ দেয়া হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।

করোনা ভ্যাকসিন, ফাইল ছবি

রপ্তানি শুরুর আগেই ভারত সরকারকে ১০ কোটি টিকা দেবে সংস্থাটি। কিন্তু এই মুহূর্তে তারা রপ্তানি করতে পারবে না, যেহেতু তাদের রপ্তানির অনুমতি নেই। 

বাংলাদেশ নিরাশ নয়, বন্ধুত্বে আস্থা আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

তবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ‘ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে সরকার এখনও নিরাশ নয়’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘ভারতের বন্ধুত্বে আমাদের আস্থা আছে, ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। আমরা নিরাশ হচ্ছি না, চুক্তির বিষয়ে তারা অনার করবে (সম্মান)। আজকের মধ্যে যে কথা হয়েছে, তা পজিটিভ হিসেবে দেখছি। আলোচনার কারণে আমরা আশ্বস্ত হচ্ছি, নিরাশ হচ্ছি না।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমি এখন যে ফোনটা করলাম, ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনারের কাছে… তিনি আমাকে জানিয়েছেন, আমরা যে চুক্তি করেছি এটার অর্থনৈতিক যে লেনদেন, অর্থাৎ কীভাবে টাকাটা যাবে… যেহেতু কাজটি জিটুজি। অর্থাৎ সরকার টু সরকার। কিন্তু ভারত সরকার যে বিষয়টি বলেছে, কমার্সিয়াল অ্যাক্টিভিটিজের (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) ওপর নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। আমাদের গুলোতে না। কারণ এটি সরকার টু সরকার।’

যেহেতু কাজটি জিটুজি। অর্থাৎ সরকার টু সরকার। কিন্তু ভারত সরকার যে বিষয়টি বলেছে, কমার্শিয়াল অ্যাক্টিভিটিজের (বাণিজ্যিক কার্যক্রম) ওপর নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। আমাদের গুলোতে না। কারণ এটি সরকার টু সরকার

আবদুল মান্নান, সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ

এদিকে, চুক্তি অনুযায়ী আগামী মাসের শুরুতেই বাংলাদেশ সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। এছাড়া প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ হিসেবে পুরো তিন কোটি টিকা পেতে ভারতীয় সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। অগ্রিম হিসেবে ৬০০ কোটি টাকা সেরামের অ্যাকাউন্টে রোববার জমাও দেয়ার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

বাংলাদেশ যথাসময়ে টিকা পাবে, ঢাকাকে দিল্লি

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত জানিয়েছে, বাংলাদেশ যথাসময়ে করোনাভাইরাসের টিকা পাবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার (৪ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ যথাসময়ে ভারত থেকে টিকা পাবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত যখন টিকা পাবে, বাংলাদেশকেও তখন করোনার টিকা সরবরাহ করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। আমাদেরকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে সেটি পালন করা হবে। ওরা বলেছে, ভ্যাকসিনের বিষয়ে অন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। কিন্তু যেহেতু একেবারে সর্বোচ্চপর্যায় অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলাপ করে এটা হয়েছে, কাজেই বাংলাদেশ প্রথম টিকা পাবে। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা এখানে কার্যকর হবে না।

বাংলাদেশকে করোনার টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ যথাসময়ে ভারত থেকে টিকা পাবে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

চুক্তিটি দুই দেশের সরকারের মধ্যে হয়েছিল কি-না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, এটি আমার জানা নেই। তবে টিকা যথাসময়ে আসবে, দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন, হয়তো এ মাসের শেষে আসবে।

‘তারা (ভারত) বলেছে, বাংলাদেশের এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। দ্বিতীয়ত, তারা বলেছে, সেরাম কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যেটি বলেছেন সেটি তার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত। এটি ভারত সরকারের নীতি নয়।’

সব দেশ টিকা পাবে?

১৭২টি দেশের একটি জোট (যুক্তরাষ্ট্র এ জোটে নেই) কোভ্যাক্স। সব দেশের সব নাগরিকের কাছে দ্রুত, ন্যায়সঙ্গত ও পক্ষপাতহীন উপায়ে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চায় এ জোট। প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবনরক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রেখে আসা আন্তর্জাতিক জোট গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহ-নেতৃত্বে কোভ্যাক্স ৯টি ফার্মাসিউটিক্যালস ডেভেলপারের কাছ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যবস্থা করে রেখেছে। ভ্যাকসিনগুলো অনুমোদন পেলেই তা সংগ্রহ করা হবে।

ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ সংগ্রহের উদ্দেশে ২০২১ সালের মধ্যে কোভ্যাক্স ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করতে চায়। কিন্তু কোনো ভ্যাকসিনের যদি একটি ডোজেও কাজ হয় (এখনও অনুমোদিত ভ্যাকসিনগুলোর দুটি ডোজ প্রয়োজন হয়) তবেও ২০০ কোটি ডোজ দিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সব মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে না। আর যদিও এমন আশা আছে যে, ভারতের মতো দেশগুলোতে উৎপাদকরা স্বল্পমূল্যে ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে, তারপরও বৈশ্বিক জোগান চাহিদার চেয়ে কমই থেকে যাবে। এরপরও আপাতত ভারত টিকা রপ্তানি করতে পারবে না বলে যে সিদ্ধান্ত জানা গেল তাতে পরিস্থিতি কার্যত আরও জটিল হচ্ছে।

টিআই/এমআই/এমএইচএস/এমএআর