পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন হত্যায় ভাড়াটে ‘কিলার’ গ্রেফতার
রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দীন হত্যার সঙ্গে জড়িত ‘কিলার’কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
অভিযুক্তের নাম শরিফ (২৪)। তার বাড়ি ভোলায়। সাহিনুদ্দীন হত্যায় শরিফ ভাড়াটে কিলার হিসেবে সরাসরি অংশ নিয়েছিল বলে দাবি ডিবি পুলিশের।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আহসান খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শনিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে মিরপুরের পল্লবী জোনাল টিম।
এর আগে রোববার (১৬ মে) বিকাল ৪টায় সন্ত্রাসীরা জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের মীমাংসার কথা বলে ভিকটিম সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার (১৭ মে) পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার আসামি ছিলেন না শরিফ।
এডিসি মো. আহসান খান জানান, গত বুধবার থেকে মামলাটির তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম। গ্রেফতার অপর আসামিদের দেওয়া তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হওয়া যায় সাহিনুদ্দীনকে হত্যায় জড়িত ছিল শরিফও। শরিফ মূলত ভাড়াটে কিলার হিসেবে কাজ করে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। সাহিনুদ্দীন হত্যা মামলায় শরিফকে রোববার আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
উল্লেখ্য , গত ১৯ মে র্যাবের অভিযানে সাহিনুদ্দীন হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য মাে. আউয়ালসহ ৩ জনকে ভৈরব, চাঁদপুর ও পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার অন্য দুজন হলেন , মো. হাসান ও জহিরুল ইসলাম বাবু। একই দিন মো. সুমন বেপারী (৩৩) ও মো. রকি তালুকদার (২৫) নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
সাহিনুদ্দীনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মানিককে গত বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গ্রেফতার করতে গেলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মানিক।
জেইউ/এসকেডি