যাবতীয় কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাগরিকদের দ্রুত সুন্দর একটি নগর উপহার দিতে পারব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিজানুর রহমান।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে প্রকৌশল বিভাগের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড নিয়ে মিট দ্যা প্রেসে তিনি এ প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

মিজানুর রহমান বলেন, ট্রাফিক অবকাঠামো বিষয়ে বলেন, ট্রাফিক অবকাঠামো ব্যবস্থার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা একটি নির্দেশনা দিয়েছেন, নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থার উন্নয়ন করার জন্য। যা পাইলটিং সিস্টেম হিসেবে বাংলামোটর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। আমাদের এ বিষয়ে ৫টি প্রকল্প আছে, যার মধ্যে ২টি প্রকল্প চলমান ও বাকি তিনটির দরপত্র পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, আমরা ওয়াসা থেকে কিছু খাল পেয়েছিলাম, আমরা চারটি খালকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি, মান্ডা, জিরানি, শ্যামপুর, কালুনগর পরিপূর্ণভাবে খনন করে পূর্বের অবয়বে খালগুলো ফিরিয়ে দিতে পারি, অবৈধ দখলদার দূর করে শহরের ভেতরের ইন্টার্নাল কানেকটিভিটির সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে আমাদের জলাবদ্ধতা দূর হবে বলে আশা করি। নিউমার্কেট, বুয়েটসহ আরও কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়, সে জায়গাগুলো জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পাঁচটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। একটি কার্যাদেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন আগামী মৌসুমের আগে আমরা জলাবদ্ধতা দূর করতে পারি। নতুন সংযোজিত ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কাজের জন্য চারটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সংসদীয় এলাকার জন্য চারটি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

সিইও বলেন, মেয়র বা প্রশাসকের জন্য বিশেষ বিশেষ এলাকা থেকে যে-সব অনুরোধ আসে সেখানে ৩৮টি প্রকল্প রয়েছে যার ৭টি চলমান আছে, ৩১টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। অপ্রত্যাশিত উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে ৭টি প্রকল্প নিয়েছি, যার মধ্যে ৪টির কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, ৩টি দরপত্র প্রক্রিয়াধীন আছে।

মিট দ্যা প্রেসে ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এমএসএ