বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন ১৬ ডিসেম্বর। এ দিনেই পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিঁড়ে বিশ্বমানচিত্রে নিজেদের অবস্থান জানান দেয় বাঙালিরা। বাঙালি জাতিসত্তার এ গুরুত্বপূর্ণ দিনটি সামনে রেখে লাল-সবুজের সাজে সেজেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। শুধু সচিবালয় নয় একই সাজে সেজেছে বিদ্যুৎ ভবন ও পরিবহন পুল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর আশপাশের এলাকা।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে সচিবালয় ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সচিবালয়ে ক্লিনিক ভবন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভবন এবং ৬নং ভবনসহ প্রায় সব ভবনেই সবুজের মাঝে রক্তিম লাল বাতিতে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি বিজয় দিবস সামনে রেখে বাড়ানো হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাও।

এ ছাড়া সচিবালয়ের পাশে বিদ্যুৎ ভবন, পরিবহন পুলের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্ট এবং আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাতেও লাল-সবুজের বাতি পথিককে মন্ত্রমুগ্ধের মতো স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ গুরুত্বপূর্ণ দিনটিকে।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এদিন বিকেলে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারগুলোকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সময় ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটি শুরু হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিকরা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

১৬ ডিসেম্বর সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও স্থাপনাগুলো জাতীয় পতাকা ও রঙিন নিশানে সাজানো হবে।

এমএম/এমজেইউ