জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। মাসিক বেতনের সঙ্গে বাজার খরচ মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশের এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক কর্মচারী। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা এখন সময়ের দাবি। 

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পুরানা পল্টনের আইএবি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এ দাবি জানান।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি আমির হোসেনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ডক্টর মাসুম রব্বানী, প্রভাষক ইসমাইল হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমিন, নজরুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা বেলাল হোসেন ও ওমর ফারুক প্রমুখ।

মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, দেশের সাড়ে পাঁচ লাখ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। অথচ তারা শিক্ষার ৯৫ শতাংশ দায়িত্ব পালন করছেন। মাত্র পাঁচ শতাংশ দায়িত্ব পালনকারী সরকারি শিক্ষক কর্মচারীরা শতভাগ সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত হলেও যুগ যুগ ধরে বেসরকারি শিক্ষকরা সরকারের বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার। তাই শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে জাতীয়করণই হচ্ছে একমাত্র সমাধান। 

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বী ঊর্ধ্বগতিতে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা এখন সময়ের দাবি। এছাড়া শতভাগ উৎসব ভাতা এবং মূল বেতনের ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে আর বৈষম্য চলতে পারে না। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। প্রয়োজনে বেসরকারি প্রায় ২৬০০০ বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা যাবতীয় আয় সরকারি কোষাগারে নিয়ে হলেও জাতীয়করণ করতে হবে। 

সভায় খাগড়াছড়ি মাটিরাঙা সরকারি কলেজে নিকাব পড়া অন্তঃসত্তা শিক্ষার্থী উম্মে আঞ্জুমান আরা পুরুষ শিক্ষকের সামনে মুখ খুলতে অস্বীকার করায় হেনস্তা ও পুলিশ দিয়ে বের করে দেওয়ার এবং পরীক্ষার হল থেকে বহিষ্কার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

জেইউ/জেডএস