শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিশৃঙ্খলা, ফুল নিয়ে গেল ছিন্নমূল মানুষ
হকার, পথশিশু এবং ছিন্নমূল মানুষের উৎপাতে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়েছে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে বিরক্তি প্রকাশ করছেন। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিশেষ দিবসের আয়োজন ঘিরে ঢিলেঢালা ব্যবস্থাপনা ও পুলিশ সদস্যদের গা-ছাড়া ভাব দেখে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে অবস্থান করে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
দেখা গেছে, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের মূল বেদির ওপর অর্ধশতাধিক ছিন্নমূল মানুষ ও পথশিশু অবস্থান করছে। কেউ শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুল দিয়ে সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাড়াকাড়ি করে ফুলের ডালা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে তারা। পুরো বেদিজুড়ে পড়ে আছে ভাঙা ফোমের টুকরো। এর মধ্যে আবার কিছু শিশু খোদ ফুল রাখার মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে গেছে।
এদিকে, স্মৃতিসৌধের উভয় পাশেই এলোমেলোভাবে বসেছে ফুচকা ও ঝালমুড়ির দোকানও। এসব অব্যবস্থাপনার দিকে মনযোগ নেই কারো। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও কোনো ভূমিকা রাখচছেন না। আশপাশে বসে-দাঁড়িয়ে এবং গল্প করে সময় কাটাতে দেখা গেছে তাদের।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আব্দুল ওয়াদুদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তাদেরকে স্মরণ করতেই বুদ্ধিজীবী দিবস। কিন্তু এখানে যা তা অবস্থা। ব্যবস্থাপনা আরও সুন্দর এবং ভালো হওয়া প্রয়োজন ছিল। এমনটি আমরা আশা করিনি।
আরও পড়ুন
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ বলেন, অন্তত দুপুর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক রাখা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুরো এলাকায় অব্যবস্থাপনা। বেদিতে একটি ফুলও নেই। এলাকা জুড়েই হকার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস ঘিরে এমন বাজে ব্যবস্থাপনা হওয়া উচিত নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে অবস্থান করা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডিএমপি মিরপুর জোনের ডিসি মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরএইচটি/এমএইচএন/এমএ