ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি ব্যর্থ
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রথমে আলাদা তিনটি কর্মসূচি নিলেও তা ব্যর্থ হয়। এরপর আবার ৩৩০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
আইসিটির প্রকল্প: ৩৩০ কোটি টাকায় তৈরি গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে।
মানবজমিন
বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা রাইসা খাতুন। নগরীর বাজার রোড এলাকায় স্বামী, সন্তান নিয়ে থাকেন। নতুন বছরে স্কুলে দিতে চান ছেলেকে। কিন্তু বিপত্তি বাধে জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকায়। গত সেপ্টেম্বর থেকে চেষ্টা করছেন ছেলের জন্মসনদের জন্য। আবেদনপত্রটি ঝুলেই আছে। শুধু রাইসা নন। বরিশাল সিটির এমন অনেক বাসিন্দা সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। জন্মসনদ, ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয়তা সনদ, চারিত্রিক সনদ, উত্তরাধিকার সনদ, ওয়ারিশান সনদসহ প্রয়োজনীয় সেবা যা ঠিকভাবে পাচ্ছেন না নগরবাসী। সম্প্রতি বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে সরজমিন ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
সমকাল
চিকিৎসা-পর্যটনে বাংলাদেশিরা ভারত ছেড়ে থাইল্যান্ডমুখী
থাইল্যান্ডে হঠাৎ বেড়ে গেছে বাংলাদেশি। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ দেশটিতে ভ্রমণ ছাড়াও চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কূটনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকায় মানুষ এখন খাত দুটিতে ব্যাংকককে বিকল্প ভাবছেন। এ সুযোগে থাইল্যান্ডে সক্রিয় বাংলাদেশি দালাল চক্র। তারা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতেও বেড়েছে বাংলাদেশিদের যাতায়াত।
আরও পড়ুন
আজকের পত্রিকা
হিসাব কষে ভোটের প্রস্তুতি সেরে রাখছে বিএনপি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগে থেকেই টানা রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সেই অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠার তাগিদ আছে প্রায় সব মহল থেকে। তবে আগামী নির্বাচন কেমন হবে, সে বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকায় রাজনৈতিক দলগুলো সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলছে। দুই প্রধান দলের একটি বিএনপি মনে করছে, এবার দলের জন্য পরিস্থিতি অনুকূলে আছে, এমনটা অনেকে মনে করলেও ক্ষমতাকেন্দ্রিক নানামুখী টানাপোড়েনের কারণে নির্বাচনের সময় ও ভোটের পর দলকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।
দেশ রূপান্তর
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছিল করোনাভাইরাস। সে সময় ব্যাহত হয় প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা। ধাপে ধাপে এ অচলাবস্থা কাটানোর চেষ্টা হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে গত কয়েক বছরে বারবার হোঁচট খেয়েছে দেশের শিক্ষাক্ষেত্র। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষাক্ষেত্রে নানামুখী সমস্যা আরও তীব্র হয়। আন্দোলনের কারণে প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর তা খুললেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি। নানা দাবি, আন্দোলনে শিক্ষা কার্যক্রম বারবার ব্যাহত হচ্ছে। কাটছে না সেশনজটের শঙ্কাও। অন্যদিকে ঘন ঘন শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে দিশেহারা হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে সরকারের নানান উদ্যোগ থাকলেও উপেক্ষিত থাকে শিক্ষা। সংস্কারের অংশ হিসেবে সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করলেও, সেখানে জায়গা হয়নি শিক্ষার। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষাবিদদের।
প্রথম আলো
বাংলা একাডেমিতে গবেষণার চেয়ে অনুষ্ঠানে বরাদ্দ ৪ গুণ
দৌলত উজির বাহ্রাম খাঁর ‘লাইলি মজনু’ ছিল বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত প্রথম বই। আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, লোকসংস্কৃতি নিয়েও গ্রন্থ প্রকাশ করেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটিতে আছে দুষ্প্রাপ্য পুঁথি ও বইয়ের সংগ্রহ। বিভিন্ন অভিধান প্রকাশে আছে একাডেমির বিশেষ অবদান। কিন্তু দুই দশক ধরে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা, প্রকাশনা ও পুনর্মুদ্রণকাজ নিয়ে উঠে আসছে সমালোচনা। ৬৯ বছর বয়সী এ প্রতিষ্ঠানের মূল দায়িত্ব বাংলা ভাষার উৎকর্ষসাধনে কাজ করা।
মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা আর বছরব্যাপী শতাধিক অনুষ্ঠান আয়োজনে গুরুত্বহীন হয়েছে একাডেমির গবেষণাকাজ। প্রতিষ্ঠানের গত আট বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বছরজুড়ে আয়োজন করা অনুষ্ঠানের অধিকাংশই ‘স্মরণ’ ও ‘দিবস পালনে’ সীমাবদ্ধ। অথচ গবেষণামূলক প্রবন্ধ, নিবন্ধ উপস্থাপনে নেই আগ্রহ। একাডেমির বাজেট বরাদ্দেও সে প্রভাব স্পষ্ট। চলতি বছরের বাজেটে গবেষণার চেয়ে অনুষ্ঠানের বরাদ্দ ছিল ৪ গুণ।
ইত্তেফাক
সিন্ডিকেটের কারসাজিতে হাওয়া বোতলজাত সয়াবিন তেল
বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে। বিশেষ করে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক থেকে দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। ক্রেতারা বাজারে একাধিক দোকান খুঁজে দুই-একটি বোতলজাত সয়াবিন পেলেও দাম রাখা হচ্ছে বেশি। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মহাখালী, শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
সমকাল
রাজউকের গড়িমসিতে ছয় বছরেও শুরু হয়নি কাজ
ছয় বছর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) দিয়ে সব ধরনের নকশা প্রণয়ন করা হলেও গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। অর্থ বরাদ্দে সরকারের কার্পণ্য না থাকলেও স্রেফ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে আলোর মুখ দেখছে না প্রকল্পটি। অথচ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে গুলশান-বনানী-বাড্ডা এলাকার যানজট নিরসন হতো; বাড়ত লেকের পাড়ের সৌন্দর্য।
কালের কণ্ঠ
সূত্র জানায়, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশনের জন্য রয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট। শিক্ষকদের প্রতি মাসের মূল বেতন থেকে অবসর বোর্ডে কেটে নেওয়া হয় ৬ শতাংশ এবং কল্যাণ ট্রাস্টে কেটে নেওয়া হয় ৪ শতাংশ টাকা। কিন্তু বেতন থেকে কেটে নেওয়া অর্থে পেনশনের পুরো টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়। আর সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর বাজেটে এবং চাহিদামতো এককালীন থোক বরাদ্দ না দেওয়ায় ৭৪ হাজার শিক্ষকের আবেদনের স্তূপ জমা হয়েছে। এর মধ্যে অবসর বোর্ডে আবেদন জমা রয়েছে ৩৮ হাজার এবং কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন জমা ৩৬ হাজার।
প্রথম আলো
২০০০ কোটি টাকা ঋণ ও ব্যবস্থাপনা হয়নি, ঢাকায় বাস চলাচলে নৈরাজ্য রয়েই গেল
মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা ঋণ ও ব্যবস্থাপনা—এ দুটি হলেই ঢাকার বাসিন্দারা বাসে আরামদায়কভাবে যাতায়াত করতে পারতেন। ঢাকার যানজটও কমত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সে সময়ের ঢাকার দুই মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম তা পারেননি। ফলে ঢাকায় বাস চলাচলের নামে চলেছে আসলে নৈরাজ্য।
আওয়ামী লীগের নজর ছিল মূলত বড় প্রকল্পে। প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার বড় বড় প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ঢাকার যোগাযোগ খাতে। বড় অঙ্কের কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কয়েকটি বাস্তবায়নাধীন। কিন্তু শৃঙ্খলা ফেরানোর বেলায় ওবায়দুল কাদের ছিলেন হাত গুটিয়ে। তৎকালীন মেয়ররা বৈঠকের পর বৈঠক করেছেন। কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। কাজের কাজ হয়নি।
কালের কণ্ঠ
ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি ব্যর্থ
ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূল ও ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ২০১০ সালে ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ কর্মসূচি হাতে নেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে এই কর্মসূচি যে ব্যর্থ হয়েছে, শহরের চারদিকে তাকালে তার ভূরি ভূরি প্রমাণ মেলে। শুধু রাজধানী নয়, দেশের সব শহরের একই চিত্র। সবখানে ভিক্ষুকের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্য।
বণিক বার্তা
গত চার মাসে বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষয় ৩ বিলিয়ন ডলার
আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশের রফতানি বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি। আর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবুও এ সময়ে অব্যাহত থেকেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয়। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিদেশী হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার স্থিতি কমেছে প্রায় ১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে মোট রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
যুগান্তর
বিদেশে পুঁজি সরানো বেড়েছে ৬০ ভাগ
করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই দেশের অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। ২০২০ সালে করোনার সংক্রমণের পর আরও খারাপ অবস্থায় পড়ে অর্থনীতি। ২০২২ সালে বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে দেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব প্রকট আকার নেয়। এর মধ্যে ভয়াবহ ডলার সংকট টাকার মান কমিয়ে দেয়। যা পুরো অর্থনীতিকে আক্রান্ত করে। এর নেতিবাচক প্রভাব এখনও অর্থনীতিতে বিদ্যমান। অর্থনীতির এমন দুঃসময়েও দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় নিট পুঁজি বিদেশে সরানোর প্রবণতা বেড়েছে। এক বছরে বৃদ্ধির পরিমাণ ৬০ শতাংশ। ৫ বছরের মধ্যে গত অর্থবছরেই সর্বোচ্চ পরিমাণ পুঁজি দেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে নেওয়া হয়েছে। এটা টাকার অঙ্কে ২৪০ কোটি এবং বৈদেশিক মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ডলার।
এছাড়া টানা ৩ দিন স্বাস্থ্যকর বাতাস নেই ঢাকায়; ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ; বাংলাদেশ নিয়ে কটূক্তি / কর্ণাটকের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা; আইএমএফের শর্ত মানতে নারাজ অন্তর্বর্তী সরকার; বগুড়ায় সারজিস / চার মাসে প্রত্যাশা যতটুকু ছিল, ততটা পূরণ হয়নি; প্রধান বিচারপতি / ন্যায়বিচার থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়; ৭ বছর আগের ‘আসামি’ এখন মামলার বাদী—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।