আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ছন্দপতন হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যতটা মসৃণ ছিল দু’দেশের সম্পর্ক, সেখানে একটা পরিবর্তন আসে। আর সর্বশেষ আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার পর স্পষ্ট হয় দুদেশের সম্পর্ক কতটা খারাপ হয়েছে।  

এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক জনমত জরিপে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের ৫৩.৬ শতাংশ মানুষ ভারতকে পছন্দ করেন আর দেশ হিসেবে ভারতকে অপছন্দ করেন ৪১.৩ শতাংশ বাংলাদেশি।  

জরিপটির ফলাফল থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে, এবং দেশের মানুষ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী দেশ সম্পর্কে ভাল ধারণা পোষণ করেন।

ভয়েস অব আমেরিকা বলেছে— জরিপে ১ হাজার উত্তরদাতাকে কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশকে ১ থেকে ৫ স্কেলে ‘ভোট’ দিয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়। স্কেলের ১ এবং ২ মিলে হয় ‘পছন্দ’ আর ৪ এবং ৫ মিলে ‘অপছন্দ।’ 

উত্তরদাতাদের ৫৯ শতাংশ পাকিস্তানকে ‘পছন্দ’ স্কেলে বাছাই করেন। অন্যদিকে, ভারতের ‘পছন্দ’ স্কোর ছিল ৫৩.৬ শতাংশ।

তবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই চরম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ দুটোর মধ্যে ‘অপছন্দ’ স্কেলে বেশ বড় ব্যবধান লক্ষ্য করা যায়। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, উত্তরদাতাদের ২৮.৫ শতাংশ পাকিস্তানকে ‘অপছন্দ’ করে মত দেন। অন্যদিকে, ভারতের ‘অপছন্দ’ স্কোর ছিল ৪১.৩ শতাংশ। 

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশিদের সবচেয়ে ‘অপছন্দ’ হচ্ছে মিয়ানমার, যা আগে বার্মা নামে পরিচিত ছিল। উত্তরদাতারা মিয়ানমারকে ‘অপছন্দ’ স্কেলে ৫৯.১ শতাংশ এবং ‘পছন্দ’ স্কেলে ২৪.৫ শতাংশ রায় দেয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

এনএফ