‘ভারতের সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে’
ভারতের সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। যতই তারা (ভারত) ধর্মীয় দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাতা ফাঁদে পা দেবে না। বরং দল-মত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে ভারতের সব ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জুমার নামাজ শেষে বাংলাদেশ তিসরী ইনসাফ দল আয়োজিত এক বিক্ষোভে সমাবেশ বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এতে অংশ নেওয়া সংগঠনটির নেতাকর্মী এবং মুসল্লিরা বলেন, ভারত আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এসব ব্যাপারে সচেতন। দীর্ঘ ষোল বছরের স্বৈরতন্ত্রের পতন বাংলাদেশের মানুষের হাত ধরেই হয়েছে। এমন ঐক্যবদ্ধ জাতিকে খুব সহজেই হার মানানো যাবেনা৷ তবে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের মত পার্থক্য ভুলে দেশের সার্থক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আর ভারত যেভাবে অনধিকার চর্চা করছে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানাতে হবে। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়াগুলো অতিরঞ্জিত সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা করছে। এসব ব্যাপারে বর্তমান সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন
এসময় ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার, সাবধান’, ‘ভারতের আগ্রাসন, মানি না মানবো না’, ‘ভারতীয় পণ্য, বয়কট বয়কট’, ‘ইসরাইলি পণ্য, বয়কট বয়কট’, ’ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ, হুঁশিয়ার সাবধান’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ্ব প্রধান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে সবাই এক। তাই ভারতকে বলব, আমাদের সঙ্গে লড়তে এসো না। তাহলে তোমরাই খণ্ড বিখণ্ড হয়ে যাবে। আমরা দেখেছি, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা হয়েছে। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ভারত যত বেশি ষড়যন্ত্র করবে আমরা তত বেশি ঐক্যবদ্ধ হব।
অপরদিকে, অপরদিকে জুমার নামাজের আগ থেকেই বাইতুল মোকাররমসহ আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। উত্তর গেটসহ আশপাশের পুরো এলাকা জুড়ে পুলিশ, এপিবিএন এবং ডিবি পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। তবে জুমার নামাজের আগে-পরে কোন ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।
আরএইচটি/এমএসএ