মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ থাকতে পারে না। বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান পার্থক্য করা আমাদের কাজ নয়। সবাই এ দেশের নাগরিক।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘হীড বাংলাদেশ’র ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘হীড বাংলাদেশ’ এমন সময় ৫০ বছর পূর্তি করছে যখন ছাত্র-শ্রমিক-জনতার আন্দোলনের ফলে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। হীড বাংলাদেশ যে শিশুদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে আগামীতে এই শিক্ষার্থীরাই হীড বাংলাদেশকে শতবর্ষ বাঁচিয়ে রাখবে।

তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মে মানুষকে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ সৃষ্টির সেরা জীব ঘোষণা করেছে। এই মানুষরা একসময় মানুষের ক্ষতি করে আবার উপকারও করে থাকে। কাজেই আমরা যদি আশরাফুল মাখলুকাত হতে চাই তাহলে সেবা করাই একমাত্র কাজ হতে পারে।

ফরিদা আখতার বলেন, নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন হীড বাংলাদেশকে চিনতাম, তাদের অনেক মানবিক কাজের মধ্যে কুষ্ঠ রোগীদের চিকিৎসা অন্যতম মানবিক কাজ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সে সময় অনেক মানুষই কুষ্ঠ রোগীদের কাছে পর্যন্ত যায়নি। কিন্তু হীড বাংলাদেশ তাদের সেবা করেছে।

বেগম রোকেয়া নারী মুক্তির জন্য অনেক কিছু করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের হীড বাংলাদেশ সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্রতা শুধু আর্থিক কারণে হয় না, আমাদের মানসিক, শিক্ষাসহ  অনেক কিছু এ জন্য দায়ী। হীড বাংলাদেশ নারীদের যোগ্যতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা প্রশংসার যোগ্য।

রেভারেন্ড বায়রন পি. বনিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদূর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, পিকেএসএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের, আর্চবিশপ বিজয় এন.ডি ক্রুজ, প্যাট্রিক ডি' রোজারিও, হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেনসহ হীড বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

এসএসএইচ