খরা-ভূমিক্ষয় মোকাবিলায় প্রয়োজন বৈশ্বিক পদক্ষেপ ও যৌথ বিনিয়োগ
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, খরা ও ভূমিক্ষয়ের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলায় অবিলম্বে সম্মিলিত পদক্ষেপ ও যৌথ বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি তুলে ধরে তিনি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি জোরদার করার আহ্বান জানান।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদে চলমান জাতিসংঘের মরুকরণ প্রতিরোধ কনভেনশনের (ইউএনসিসিডি) ষোড়শ সম্মেলনের মিনিস্টেরিয়াল ডায়ালগে স্পেশাল সেগমেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নিম্ন অববাহিকার দেশ হিসেবে তিনি সমতার নীতি, ক্ষতি না করা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে অভিন্ন নদী অববাহিকা ও আন্তর্জাতিক পানিসম্পদ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জাতিসংঘের পূর্বাভাসে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক পানি সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ৪০ শতাংশ ঘাটতির কথা উল্লেখ করে তিনি পানির অধিকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রিজওয়ানা হাসান উন্নয়ন কার্যক্রমে সাবধানতামূলক নীতির ওপর জোর দিয়ে পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন (ইএসআইএ), জনসম্পৃক্ততা এবং স্থানীয় জ্ঞানকে গুরুত্ব দেন। পানি-নির্ভর শিল্প ও কৃষি চর্চার জন্য টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রণিধানযোগ্য নিয়ম প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, কৃষক, বননিবাসী, নারী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। তিনি প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা এবং ন্যায়বিচারের সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এই সম্প্রদায়গুলোকে ক্ষমতায়নের আহ্বান জানান।
পরিশেষে তিনি ইউএনসিসিডিকে প্রযুক্তি স্থানান্তর সহজতর করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা দিতে ভূমিকা বাড়ানোর আহ্বান জানান। বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি কপ১৬-এর মতো ফোরামের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অধিবেশনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এমএসআই/জেডএস