চট্টগ্রামে প্রায় শেষ হয়ে গেছে করোনা টিকার মজুদ। জেলায় আর মাত্র সাড়ে সাত হাজার ডোজ টিকা মজুদ আছে। শনিবারের (২২ মে) পর জেলার অধিকাংশ কেন্দ্রেই টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী ঢাকা পোস্টকে  বলেন, চট্টগ্রামে যে সাড়ে সাত হাজার ডোজ টিকা মজুদ আছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফ্রন্টলাইনারদের তা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর যাদের প্রায় ৩ মাস হয়ে গেছে তাদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, টিকা সঙ্কটের কারণে ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের রাউজান ও বোয়ালখালীতে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি যে কেন্দ্রগুলো আছে তাও টিকা শেষ হওয়ার পর দু-একদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বন্দরটিলা মাতৃসদন, সাফা মোতালেব মাতৃসদন, নৌবাহিনী হাসপাতাল, বিমানবাহিনী হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতাল কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের কোনো টিকা দেওয়া হয়নি।

সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে আর মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ জনকে। 

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডেজ গ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৪ জন। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে অপেক্ষমাণ আছেন ১ লাখ ১৫  হাজার ৩১৬ জন। 
 
আজ শুক্রবার (২০ মে) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, অল্প কিছু টিকা আছে। যাদের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর প্রায় তিন মাস হয়ে গেছে এমন হাতেগোনা কয়েকজনকে টিকা দেওয়া যাবে। 

তিনি বলেন, শনিবারের পর থেকেই টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ  হয়ে যাবে চট্টগ্রামে। পরবর্তীতে টিকা এলে আবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।

দেশে এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। যা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষ দিকে সেরামের টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামেও। 

সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ডোজের গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। টিকার সঙ্কট দেখা দেওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামে।

কেএম/এইচকে