আইনজীবী আলিফ হত্যায় জড়িতের দ্রুত গ্রেপ্তার চান মেয়র শাহাদাত
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে এ ঘটনায় নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে সমস্যায় না পড়েন তার জন্য প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছেন তিনি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) নগরীর ৩২নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে এ দাবি জানান মেয়র।
বিজ্ঞাপন
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের একজন আইনজীবীকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি পরিষ্কার বলতে চাই- অতি দ্রুত খুনি সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে হবে।
আরও পড়ুন
‘সন্ত্রাসী যেই হোক সে যদি সিটি কর্পোরেশনের কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাও হয়ে থাকে তাকে প্রশাসন গ্রেপ্তার করবে। এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আমি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি সিটি কর্পোরেশনের কোনো নিরীহ কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে গ্রেপ্তার না হয় সেটা নজর রাখতে। যাতে আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগের যে সমস্ত কর্মচারী দিনরাত পরিশ্রম করে চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখছে তারা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে। আর চিহ্নিত যেসব সন্ত্রাসী এ কাজ করেছে তারা আইনের আওতায় আসবে। জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত শাস্তি এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই আমি।’
জনগণের সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, আমরা রাতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দিনের বেলায় যত্রতত্র ময়লা না ফেলে একটা সুনির্দিষ্ট সময় আপনারা ফেলেন, বিকেলে বা সন্ধ্যার পরে। আমরা সেটা কালেকশন করে নিয়ে যাবো। সুনির্দিষ্ট সময়ে ময়লা ফেললে আমাদের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে সুবিধা হবে। আমরা বদ্ধপরিকর জনগণের সেবা দিতে। জনগণের সেবক হিসেবে আমরা কাজ করছি। কাজেই আমরা মনে করি আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর, ক্লিন-গ্রিন-হেলদি সিটি আমরা জনগণকে উপহার দেব।
পরিচ্ছন্ন কর্মীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখানে যারা অনুপস্থিত আছেন কিংবা কাজের গাফিলতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা চাই তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের সেবা দেবে এবং এখানে যারা সচিব আছে, কাজ করছে না অথবা যাদের বিরুদ্ধে আমরা সমস্যা পেয়েছি গতকাল দেখেছেন আমরা একটা আদেশ করে তাদেরকে বদলি করে দিয়েছি। সেখানেও যদি তারা আগের মতো দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করে তবে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দায়িত্বে ফাঁকি দিলেই শাস্তি হবে। জনগণকে ভোগালে চাকরি থাকবে না।
আরএমএন/এমএ