বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ফি ও ভাইভার নম্বর কমানোর প্রস্তাব করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ প্রস্তাবে আবেদন ফি ৩৫০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। আর ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে ১০০ করার প্রস্তাব করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে ৪৭তম বিসিএস থেকে পরীক্ষা ফি এবং ৪৪তম বিসিএস থেকে ভাইভার বিষয়টি কার্যকর হতে পারে।

সোমবার পিএসসির একজন কর্মকর্তা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি ছিল বিসিএসের আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০ টাকা করার। এটা শুধু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও দাবি ছিল। তাদের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। আর প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।

অন্যদিকে বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) নম্বর কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে পিএসসি। বর্তমানে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার স্থলে ১০০ নম্বর করার প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে এ প্রস্তাব অনুমোদন পেলে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় এটি কার্যকর হবে। ৪৪তম বিসিএস থেকে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা হতে পারে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিসিএসসহ নিয়োগ পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি জানান। সোমবার নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিসিএস ভাইভায় ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বর; আবেদন ফি ৭০০ টাকার বদলে ৩৫০ টাকা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীবান্ধব এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।

গত ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিসিএস থেকে তিন হাজার ৬৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিপ্রত্যাশীদের ১০ ডিসেম্বর থেকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭তম বিসিএসের আবেদন করা যাবে।

৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজার ৪৮৭ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তা ছাড়া নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে ২০১ জনকে।

এনএম/এমজে