রাজধানীর হাজারীবাগে যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক এ কে এম আব্দুর রশিদ হত্যার রহস্য উদঘাটন করার দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় জড়িতরা আব্দুর রশিদের বাসার ভাড়াটিয়া এবং বকেয়া ভাড়া চাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। 

হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— মো. নাইম খান (২২), মো. জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার শাওন (২২)। গতকাল খুলনার ডুমুরিয়া ও ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ বলছে, বকেয়া ভাড়া চাওয়া নিয়ে এ কে এম আব্দুর রশিদের সঙ্গে তাদের মনোমালিন্য হয়। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নগদ অর্থ লুটের পরিকল্পনা থেকে ডা. রশিদকে খুন করেন নাইম খান ও জাহিদুর রহমান। 

আজ (শনিবার) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম। 

এ সময় প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদ আলম জানান, এ কে এম আব্দুর রশিদ বছরের অধিকাংশ সময় যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতেন। মাঝে-মধ্যে তিনি বাংলাদেশে আসতেন। গ্রেপ্তার হওয়া নাইম খান ও জাহিদুর রহমান রিফাত আব্দুর রশিদের বাসায় প্রবেশ করে টাকা পয়সা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ওই অর্থ দিয়ে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা ছিল তাদের।  

পরিকল্পনা মোতাবেক ১৫ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে আবু তাহের শিকদার শাওনকে সাথে নিয়ে তারা সীমানা প্রাচীর টপকে আব্দুর রশিদের বাসায় প্রবেশ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে আব্দুর রশিদ বাধা দিতে গেলে সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে আব্দুর রশিদকে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে গত ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।  

মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, ঘটনার পূর্বের বিভিন্ন সময়ে ওই বাসায় মেস হিসেবে বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। 

জেইউ/এনএফ