দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে দমন ও নিপীড়ন মানুষের মনে শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। তাই শ্রমজীবী জনতাকে এগুলোর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে, কথা বলতে হবে। তারা চুপ হয়ে গেলে আবারো স্বৈরাচারের উত্থান হবে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন আয়োজিত ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ও শ্রমিকের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। 

সংগঠনের সভাপতি মানস নন্দীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাক্তার দলিলুর রহমান প্রমুখ।

আলোচনা সভায় মানস নন্দী বলেন, রাষ্ট্র কাজের ব্যবস্থা করেনি, বরং কাজ না পেয়ে রিকশা- অটোরিকশা চালিয়ে, হকারি করে যে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ বেঁচে থাকার চেষ্টা করছিল, তাদেরও উন্নয়নের নামে উচ্ছেদের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ বন্দিদশা থেকে মানুষ পরিবর্তন চাইছিল, মুক্তি চাইছিল। তাই ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। মুক্তির প্রত্যাশায় শোষিত, অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষ এই গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছে। এদের বড় অংশই শ্রমজীবী মানুষ।

মোশাহিদা সুলতানা বলেন, দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ন্যায্য মজুরি আন্দোলন দমন করা হচ্ছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চুপ থাকা যাবে না। শ্রমজীবী মানুষ চুপ হয়ে গেলে আবারো স্বৈরাচারের উত্থান হবে।

মাসুদ রানা বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে গাজীপুরের আশুলিয়ায় কাউসার হোসেন নামে এক শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। আবারো নিপীড়ন ধারা ফিরে আসছে। তাই এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য  বিপ্লবীধারার ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলা ও শক্তিশালী করা এবং ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ওএফএ/এমএ