ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

ছিলেন শিক্ষক। এরপর শুরু করেন ব্যবসা। ব্যবসা করতে করতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান হন। ছাত্রলীগ ও যুবলীগ করার সুবাদে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ। এরপর হয়ে যান সংসদ সদস্য (এমপি)। সবশেষে প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

জেলেদের কাছ থেকেও চাঁদা নিতেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান

ইউপি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমপি হওয়ার পর দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে যায়। চাঁদাবাজি, জমি দখল, ঘের দখল ও সরকারি নানা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কালবেলা

৯ বছরে পাঁচ খসড়া, তবু নেই আর নেই

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অপ্রীতিকর ঘটনা নৈমিত্তিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অবহেলা, ভুল চিকিৎসা ইত্যাদি অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। কিন্তু নির্দিষ্ট আইন না থাকায় সমস্যা সমাধানে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষায় ২০১৫ সাল থেকে আইন প্রণয়ের চেষ্টা চলছে। বিগত সরকারের সময় চারবার খসড়া প্রণয়ন হলেও তা পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষার অধ্যাদেশ ২০২৪’-এর খসড়া মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব উম্মে হাবিবা চলতি মাসের ১৩ তারিখে খসড়া অধ্যাদেশটি ওয়েবসাইটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে এক চিঠিতে জানিয়েছেন।

বণিক বার্তা

চীনা বিনিয়োগের কোনো প্রকল্পেই কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না

চীনের অর্থায়নে দেশে বাস্তবায়িত মেগা প্রকল্পগুলোর সিংহভাগই নির্মাণ হয়েছে গত দেড় দশকে। বাস্তবায়নাধীন আছে আরো বেশকিছু। এসব প্রকল্প নেয়ার সময় নানাভাবে এগুলোর আর্থিক মুনাফাযোগ্যতার তথ্য উপস্থাপন করেছিল বিগত সরকার। যদিও বাস্তবায়ন শেষে প্রকল্পগুলো চালু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। চালু হওয়ার পর থেকে প্রকল্পগুলোর আয় দিয়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ই উঠছে না। যদিও এগুলোর সুদসহ ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

কালের কণ্ঠ

ক্রসফায়ারের বিশেষ টিম করেছিল আ. লীগ সরকার

খুলনা অঞ্চলের এক চরমপন্থী নেতাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ২০০৩ সালে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় খুলনার তখনকার এসপিকে। শুরুতে তিনি রাজি না হলেও পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বাধ্য হন। তবে ক্রসফায়ার করতে কোনো পুলিশ সদস্যকে রাজি করানো যাচ্ছিল না।

শেষে একজন কনস্টেবল রাজি হলে তাকেসহ চরমপন্থী নেতা ও এসপিকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নির্জন স্থানে। সেখানে চরমপন্থী নেতাকে গুলি করার আগমুহূর্তে কনস্টেবল ফের বেঁকে বসেন। তখন এসপি তাকে আবারও বুঝিয়ে রাজি করালে তিনি বলেন, ‘আমি গুলি করছি, কিন্তু সব দায়দায়িত্ব আপনার।’ এসপি দায় নিতে রাজি হলে কনস্টেবল বন্দুকের ট্রিগার চাপেন।

মানবজমিন

নির্বাচন সংস্কারে আলোচনায় ৭ প্রস্তাব

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত কমিশন বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছে। বৈঠকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব এসেছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, ‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালু করা, নারী আসনে সরাসরি ভোট, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা, দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা এবং নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তা করার প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে প্রায় সবাই একমত হয়েছেন। এ ছাড়া আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন এই কমিশন এসব প্রস্তাব সংগ্রহ শেষে পর্যালোচনা করে নির্বাচন সংস্কার বিষয়ে তাদের সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারকে দিবেন। 

সমকাল

বায়ুদূষণ এবারও মাত্রাছাড়া সব সংস্থা হাত গুটিয়ে

ভোরে ঘাসের ডগায় জমছে শিশির, সন্ধ্যাটা কুয়াশামাখা। প্রকৃতির শীতল পরশ বলছে, তাপমাত্রা নামছে। শীতের মৃদু হিমেল বাতাসেই দূষণের ঘনঘটা। এরই মধ্যে ঢাকার বায়ুতে দূষিত বস্তুকণার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে, যা অস্বাস্থ্যকর, উদ্বেগজনক।

রাজধানীর আকাশ আচ্ছন্ন হচ্ছে বিষবাষ্প, ধুলার আস্তরণ আর ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে। ধোঁয়াশাময় তিলোত্তমা এই নগরে এখন বুকভরে শ্বাস নেওয়াই কঠিন। থেমে থেমে মেগাসিটি ঢাকা বায়ুদূষণে বিশ্বসেরার তকমা লাগাচ্ছে। আড়াই কোটি মানুষের এই নগরে সামনে মহাবিপদ! পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ডামাডোলসহ নানা চাপা উত্তেজনায় পরিবেশগত উদ্বেগজনক এ ইস্যু গুরুত্বই পাচ্ছে না। 

আজকের পত্রিকা

মেট্রোরেলে শাস্তির আওতায় আসছেন যাত্রী-কর্মী

মেট্রোরেল চালায় যারা, সেই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। আইন সংশোধন করে এখন আধুনিক নগর পরিবহনটির নিয়ন্ত্রণ থেকে সেই কর্তৃপক্ষকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সংশোধিত আইনের খসড়ায় মেট্রোরেলের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি পরিচালনা কোম্পানি ডিএমটিসিএলের হাতেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত খসড়ায় মেট্রোরেলে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরক দিয়ে ক্ষতি করা, যাত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, ভাঙচুর, অশালীন কাজ করা, ভিক্ষা করা এবং অনুমতি ছাড়া শুটিং করার মতো বিভিন্ন অপরাধের জন্য অর্থদণ্ড বা জরিমানা কিংবা উভয় ধরনের সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাত্রী ও ট্রেনের বিমাবিষয়ক ধারা বাতিলেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডিএমটিসিএলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে কার্যত একমত হলেও সম্ভাব্য অনিয়ম ও অঘটনের ক্ষেত্রে কর্তাব্যক্তিদের দায়মুক্তির প্রস্তাবে উদ্বেগ জানিয়েছেন।

যুগান্তর

দুই মাসে খুন ৫২২টি ধর্ষণের ঘটনা ৭৭৪

সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। নানা ইস্যুতে যত্রতত্র রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিক্ষোভ-অবরোধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে যে আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে আইনজীবীকে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বেড়েছে খুনের ঘটনাও। বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ করে গণপিটুনির ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ। গত তিন মাসে গণপিটুনিতে খুন হয়েছেন অন্তত ৬৮ জন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠি হাতে হরহামেশাই মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন গ্রুপকে। এতে তৈরি হচ্ছে ভীতিকর পরিস্থিতি। এসব কারণে জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। সব ঘটনায় মামলা হচ্ছে না। তবে পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, দুই মাসে (সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) সারা দেশে মামলা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

এছাড়া চুক্তির ফলে হিজবুল্লাহ কি দুর্বল হয়ে পড়বে; দুই মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া; চরমোনাইর মাহফিলে লাখো ভক্তের ঢল; আরও চক্রান্ত হবে, সব প্রতিহত করতে হবে; ৯০ দিনে তৃণমূলের সব কমিটি করবে বিএনপি; ইসকন-চট্টগ্রামের ঘটনায় হাইকোর্টে আজ পদক্ষেপ জানাবে সরকার; সংশোধিত ফল প্রকাশ / ৪৬তম বিসিএসে সুযোগ পেলেন ১০,৭৫৯ জন; বিতর্কমুক্ত ভোটার তালিকায় জোর; তিন মাসে ঢাকায় জিকা ভাইরাসের ৮ রোগী শনাক্ত—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।