চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার চুনতি ফারেঙ্গা গ্রামে সবশেষ জানাজা শেষে বিকেল ৫টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন তিনি। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীর হাতে নির্মমভাবে খুন হন সাইফুল।

এদিকে, অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে সারা দেশ। এ ঘটনায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে অ্যাডভোকেট সাইফুলের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে তার মরদেহ লোহাগাড়া উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষ চুনতির ফারেঙ্গা গ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুলের চতুর্থ দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। এরপর তাদেরকে সাইফুলের বাবাকে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। 

গত সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় তাকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তারা।

এমআর/এমজে