‘সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা স্তম্ভটি কখনোই বাতিলযোগ্য নয়’
ধর্ম নিরপেক্ষতা ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূল ভিত্তির একটি। তাই সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা স্তম্ভটি কখনোই বাতিলযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে সনাতন একতা মঞ্চ নামের একটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সনাতন একতা মঞ্চ আয়োজিত 'সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল এবং সনাতন নেতৃবৃন্দদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে' সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনের সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সুস্মিতা কর বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলতে সাধারণত রাষ্ট্র আর ধর্মকে পৃথকরূপে প্রকাশ করাকে বোঝায়। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করাকে বোঝানো হয়। সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণের ওপর নির্ভর করবে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী বিলটি তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদে এনেছিলেন ২০১১ সালের জুন মাসে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের সংবিধানের মৌলিক কিছু বিষয়ও ফিরিয়ে আনা হয়। রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়। সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সুস্মিতা কর আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে আমাদের সনাতনী নেতৃবৃন্দদের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যার কোনো রকম যুক্তিসংগত কারণ নেই বললেই চলে। অনতিবিলম্বে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে মুক্তি প্রদানের সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি।
৮ দফা দাবি কার্যকর করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সনাতনীরা জোটবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকার আন্দোলনের জন্য ৮ দফা দাবি ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের কাছে পেশ করেছি। কিন্তু কোনোরকম অগ্রগতি না হওয়ার কারণে আমাদের সেই ৮ দফার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি মিথুন ভট্টাচার্য (শুভ) বলেন, গতকাল চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে যা ঘটেছে সেটা থেকে বোঝা যায় আমাদের মধ্যে দুষ্কৃতকারী রয়েছে। এটার দায় সম্পূর্ণ দুষ্কৃতকারীদের। এর দায় সনাতনীদের না।
এ সময় সংগঠনের সদস্যরা দুষ্কৃতকারীদের বিচারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী মহেশ্বনান্দ পুরি মহারাজ প্রমুখ।
ওএফএ/এমজে