চট্টগ্রামে তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয়েছে শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশ।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছেন। 

শোকসভা ও সম্প্রীতি সমাবেশে অংশ নেওয়া কয়েকজন বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা প্রতি বিপ্লব করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছে। আমরা মনে করি, ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে এই ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রপক্ষের তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার বিচার দাবি করছি। অতি দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। 

সমাবেশে উপস্থিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহীন সরকার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সম্প্রীতি বজায় রেখে আবহমানকাল থেকে একত্রে বসবাস করে আসছে। এই সম্প্রীতির বন্ধনকে নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন মহল চেষ্টা চালিযে যাচ্ছে। দেশের বাইরে বসে আওয়ামী লীগের পতিত নেতারা ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসেবে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্মিলিতভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে। তাদের পাতানো ফাঁদে আমরা পা দেব না। যত চেষ্টাই করুক এই দেশে আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না। আইন অনুযায়ী সব ঘটনার বিচার করা হবে। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই চিন্ময় একজন রাষ্ট্রদ্রোহী। তিনি এদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। নানা মহল সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশের জনগণকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্র-জনতা কেউ অপরাধীদের ছাড় দেবে না। যে সংগঠন বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায় তাদেরকে এদেশ থেকে বিদায় নিতে হবে। 

এ সময় সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার বিচারের দাবিতে উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

আরএইচটি/এমএসআই/টিআই/জেডএস