একজন কর্মকর্তার কর্মজীবনের বিভিন্ন বছর বা সময়ে বার্ষিক বা আংশিক গোপনীয় অনুবেদন (এসিআর) প্রযোজ্য হলেও তা যথানিয়মে ও যথাসময়ে জমা দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গতকাল সোমবার (২৫ নভেম্বর) এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আজ (মঙ্গলবার) মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।

এতে বলা হয়, গোপনীয় অনুবেদন অনুশাসনমালা-২০২০ এর ২.১ ও ২.৬ নং অনুচ্ছেদ-এ গোপনীয় অনুবেদন ও গোপনীয় অনুবেদন দাখিল, অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরের সময়সূচি সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সিআর অধিশাখায় প্রাপ্ত এসিআরগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়— একজন কর্মকর্তার কর্মজীবনের বিভিন্ন বছর/সময়ে বার্ষিক/আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলেও তা যথানিয়মে ও যথাসময়ে দাখিল/অনুস্বাক্ষর/প্রতিস্বাক্ষর করা হচ্ছে না।

এ ছাড়া, চাকরি স্থায়ীকরণ, সিনিয়র স্কেলসহ সন পদোন্নতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন সংক্রান্ত চাহিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে গিয়ে বিভিন্ন ত্রুটিবিচ্যুতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত।

এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় অনুশাসনমালা অনুযায়ী বার্ষিক বা আংশিক গোপনীয় অনুবেদন প্রযোজ্য হলে যথাসময়ে গোপনীয় অনুবেদন দাখিল/অনুস্বাক্ষর/প্রতিস্বাক্ষর করে সিআর অধিশাখায় প্রেরণ নিশ্চিত করা অথবা কোন বছর/সময়ে এসিআর প্রযোজ্য না হলে উপযুক্ত প্রমাণক পাঠানো নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এসএইচআর/এমজে