অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন ব্যবহার, মজুদ, উৎপাদন ও স্থানান্তর নিষিদ্ধকরণ এবং ধ্বংস সংক্রান্ত সনদের পূর্ণ সার্বজনীনকরণের লক্ষ্যে কৌশলসমূহ সামঞ্জস্য বিধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত সনদের ৫ম পর্যালোচনা সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র তৌফিক হাসান সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশের পক্ষে এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ১৬৪টি রাষ্ট্রীয় দল, অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন দ্বারা সৃষ্ট দুর্ভোগ ও হতাহতের অবসান ঘটাতে তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ২৫-২৯ নভেম্বর পর্যন্ত কম্বোডিয়ার সিম রিপে ‘মাইন-বিহীন বিশ্ব’ বিষয়ক ‘দ্য সিম রিপ-অ্যাংকর সামিট’ শীর্ষক ৫ আরসি পর্যালোচনা সম্মেলনে ৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মুখপাত্র তৌফিক হাসান।

তৌফিক হাসান আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সমুন্নত ও অগ্রসর করার লক্ষ্যে এবং মানবিক মর্যাদা ও মানবতার বৃহত্তর স্বার্থের প্রতি সম্মান নিশ্চিতে সনদ মেনে চলায় বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি অন্য সব প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে সিম রিপ অ্যাংকর প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেন।

৫ আরসি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ‘সিম রিপ-অ্যাংকর অ্যাকশন প্ল্যান (২০২৫-২০২৯)’ এবং ‘মাইন-বিহীন বিশ্বে সিম রিপ-অ্যাংকর ঘোষণা’ গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে অটোয়া সনদ স্বাক্ষর ও ২০০০ সালে অনুমোদন করে। ২০০১ সালে এটি কার্যকর হয়। বাংলাদেশ তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলা এবং মাইন অ্যাকশন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সনদের উদ্দেশ্যগুলোর প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে অ্যান্টি-পার্সোনেল মাইনস (ব্যান) বিল চূড়ান্ত করার কাজ করছে।

এনআই/এসএম