২০২৯ সালের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যেন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেয়, সেজন্য বেলজিয়ামকে অনুরোধ করেছে ঢাকা। একইসঙ্গে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের উত্তরণে থাকা বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত ছয় বছরের আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা (আইএসপি) পেতেও দেশটির সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও বেলজিয়ামের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপে এসব সহায়তা চায় ঢাকা।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান এবং আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতিকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পদ্ধতিগত সংস্কারসহ অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা দিয়ে বৈঠক শুরু হয়।

সংলাপে ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মো. নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে, ব্রা‌সেল‌সের প‌ক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপাক্ষিকবিষয়ক মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জেরোএন কুরম্যান।

অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য ব্রাসেলসের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে ধন্যবাদ জানান। ব্রাসেলসের প্রতিনিধিদল জানায়, বাংলাদেশ সম্পর্কে বেলজিয়ামের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ছে। শুধু রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে নয়, বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা তুলে ধরেন তারা।

উভয়পক্ষ ক্যান্সার রিসার্চ করার বিষয়ে একটি সমঝোতা সই করার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনে সহযোগিতা সংক্রান্ত তহবিল, মানবাধিকার, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে নৃশংসতা ও প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

উভয়পক্ষ আগামী বছর পরবর্তী সংলাপে ব্রাসেলসে করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

এনআই/জেডএস