সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় /ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেফতাররা হলেন মো. সুমন বেপারী (৩৩) ও মো. রকি তালুকদার (২৫)।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) ডিএমপির মিডয়া উইংয়ের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী ও রায়েরবাগ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।

তিনি বলেন, রোববার (১৬ মে) বিকেল ৪টায় সন্ত্রাসীরা জায়গা-জমির বিরোধের বিষয়ে মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে সেকশনের ডি-ব্লকের একটি বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। প্রকাশ্য দিবালোকে রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভিকটিমের মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১৭ মে) পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে ডিএমপির গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহসান খান জানান, গত বুধবার থেকে মামলাটির তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকা থেকে হত্যার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বদানকারী সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। সুমনের দেওয়া তথ্য মতে, পল্লবী থানার স্কুল ক্যাম্প কালাপানি এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত রকিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে র‍্যাব সদর দফতর থেকে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এম এ আউয়াল লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, র‍্যাবের অভিযানে ভৈরব থেকে এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার ১ নং আসামি।

এমএসি/ওএফ