প্রায় সোয়া ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু
প্রায় সোয়া ৬ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ঢাকামুখী ট্রেনগুলোও আসতে শুরু করেছে। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধের কারণে যাত্রী ও ট্রেনের নিরাপত্তা বিবেচনায় সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে ট্রেন ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বিলম্বে থাকা জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন প্রথম ছেড়ে যায়। এছাড়া বিলম্ব হয়েছে একতা, কিশোরগঞ্জ, জয়ন্তীকা ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের। সেগুলো এখন একে একে ছাড়া হবে।
আরও পড়ুন
এর আগে সকালে তিনি জানান, অটোরিকশা চালকরা রেললাইনের ওপর অবরোধ করে আন্দোলন করছেন। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল ১০টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। সকাল ১০টার পরে কোনো ট্রেন ঢাকা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়নি এবং আসেওনি। ঢাকামুখী ট্রেনগুলো কাছাকাছি স্টেশনে অবস্থান করছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ২টার পর থেকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা মহাখালী এলাকায় ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একপর্যায়ে পৌনে ৩টার দিকে মহাখালী এলাকায় প্রায় ১০০’র মতো আন্দোলনকারী অটোরিকশা চালক ছিলেন। পরে তাদেরকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধার মুখে রাস্তা থেকে সরে যায় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা। তারা রাস্তা থেকে সরে গেলে একদিকে যেমন মহাখালী রেল লাইনের অবরোধ শেষ হয়, তেমনি সড়ক অবরোধও শেষ হয়। পরে বিকেল ৩টা থেকে মহাখালীর সব রাস্তায় যানচলাচল শুরু হয়।
গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এরপর থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা।
/এমএইচএন/এমএ