বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেছেন, বাজারভিত্তিকভাবে পেট্রোল-অকটেনের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা দ্বিধায় রয়েছে, কারণ এর প্রভাবটা কেমন হয়। তবে সরকার যদি ভোক্তাকে স্বস্তি দিতে চায়, তাহলে বিইআরসিকে ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে সে কাজটা করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের প্রাইসিং ফর্মুলা বাস্তবায়নের কাজটি ১৯৯৯ সাল থেকেই শুরু হয়। তখন ভারত এই পন্থাটি কার্যকর করেছিল, বর্তমানে তারা এ বিষয়ে ম্যাচিউরড হয়ে গেছে।

চেয়ারম্যান বলেন, বিইআরসি ২০০৮ সালে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের কাজ শুরু করে। বাধা নানাভাবেই কাজ করেছে। তবে অনুকূল পরিবেশ না থাকলে প্রপার প্রাইসিং করা যায় না।

বিইআরসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিপিসিসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের যে ব্যয়, তাতে অস্বাভাবিকতা আছে কিনা তা চেক করতে হবে। এই কাজটি বিইআরসিও করতে পারে, থার্ড পার্টি হায়ার করার মাধ্যমে। এছাড়া বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের কাজ করেছে, এখন এলপিজির করছে। তবে বিইআরসির নানা সীমাবদ্ধতা আছে।

সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালিদ আহমেদ, ক্যাবের জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা শামসুল আলম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান প্রমুখ।

ওএফএ/জেডএস