রাজধানীর মহাখালী এলাকায় রেললাইন থেকে নিজেদের অবস্থান সরিয়ে নেবেন না বলে জানিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা। তারা বলছেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। 

তবে, রেললাইনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন, তারা চেষ্টা করছেন রিকশা চালকদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য। 

অটোরিকশা চালকরা বলছেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছেড়ে যাব না। ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের পেটে লাথি দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন কী করব, চুরি করব নাকি ছিনতাই করব। রিকশা না চালাতে পারলে আমরা কী করে চলব, কীভাবে টাকা আয় করব। তাই পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী যত চেষ্টাই করুক না কেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে যাব না।

তারা বলছেন, আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিনা উস্কানিতে আমাদের লাঠিপেটা করে। আমরা তো আমাদের পেটের দায়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। তাহলে কেন বিনা কারণে আমাদের এভাবে মারা হলো। 

আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক সজীব বলেন, আমার পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী আমি। আমি রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করি এবং আমার পরিবার চালাই। এখন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এতে করে আমার পেটে লাথি মারা হয়েছে। তাহলে আমি এখন কী করব, আমার সংসার কীভাবে চালাব।

মহাখালী এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাখালীর আমতলী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। মহাখালী থেকে বনানীগামী রাস্তায়ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ এই আন্দোলনের কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। যান চলাচল না থাকায় বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা।

বর্তমানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহাখালী রেললাইনে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের একটু সামনেই আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা অবস্থান নিয়েছেন।

এমএসি/জেডএস