রাজধানীর ঢাকা কলেজের স্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম। সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রকৃত দোষীদের বিচারসহ নয় দফা দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কলেজ প্রশাসনের পক্ষে এসব দাবি উপস্থাপন করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক।

লিখিত বক্তব্যে পরিষদ সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক আহত হয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা কলেজের স্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর করেছে। হামলায় জড়িত প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা যারা এ হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, সিটি কলেজের যেসব শিক্ষক এই নিন্দনীয় ঘটনায় সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন ও জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীরে ক্যাম্পাস পরিদর্শন করতে হবে। হামলায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

ঢাকা কলেজের এই শিক্ষক বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা কলেজের সাত শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন এবং শত শত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাই পরিকল্পিতভাবে ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হামলা করে বর্তমান সরকারতে ব্যর্থ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যাতে সরাসরি সিটি কলেজ ও পুলিশ জড়িত ছিল।

আ ক ম রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কলেজের ভেতরে ঢুকে পড়েন, আমিসহ কলিগরা এগিয়ে যাই। টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ফলে আমাদের কতজন ছাত্র আহত হয়েছেন তা নিশ্চিত নয়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তি চাই। আশা করি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

এর আগে ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে পুরো এলাকাজুড়ে।

আরএইচটি/এসএসএইচ